‘ক্ষমতায় থেকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবে আ.লীগ, আমি এটা চাই’

NewsDetails_01

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের উন্নয়নের জন্য, আওয়ামী লীগের নেওয়া কর্ম-পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হলে আমাদের আরও এক টার্ম ক্ষমতায় আসা দরকার।’
শনিবার (৮ জুলাই) বিকাল ৫টায় গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

এসময় ক্ষমতায় থেকে ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও এর আগে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী আওয়ামী লীগ উদযাপন করবে এই প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের লক্ষ্য, উন্নয়ন-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। এর বাইরে যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা লুটের রাজত্ব কায়েম করেছে। কাজেই দেশের মানুষকেই চিন্তা করতে হবে, তারা কী করবেন?’

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করতে হবে। বিএনপি দেশ শাসন করতে নয়; ভোগ করতে, লুটপাট করতে ক্ষমতায় আসে এটাও জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন করে, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখে; এটা প্রমাণিত।’

বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন এলে তারা বিভিন্ন রকম টালবাহানা শুরু করে। এসবও জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। নির্বাচনে জনগণ ভোট দেবে। আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো—এই স্লোগানও কিন্তু আমরাই প্রণয়ন করেছি। এছাড়া ভোট জনগণের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার। জনগণ যাকে ভোট দেবে, তারাই ক্ষমতায় আসবে বলে আমরা মনে করি।’

NewsDetails_03

আমাদের সরকার হাওয়া ভবন খুলে খাওয়া ভবন তৈরি করেনি বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইশতেহার হাতে নিয়ে বাজেট প্রণয়ন করি। এ বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারলে ২০১৯ সালে আরও বড় আকারে বাজেট দেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আওয়ামী লীগ উদযাপন করবে, এ লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে পালন করবে, আমি এটা চাই।’

তিনি বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় ছিল বলে উন্নয়নের সুফল জনগণের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে পেরেছি। সরকারের ধারাবাহিকতা না থাকলে এটা সম্ভব হতো না।’

২০১৪ সালের নির্বাচনের প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচনি আইনে আছে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়া যায়। এই আইন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও আছে।’

২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপরে যে অত্যাচার-নির্যাতন হয়েছে, তার তথ্য সংগ্রহ করার ও এসব তথ্য জনগণের কাছে তুলে ধরার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এমন কোনও জেলা নেই, যেখানে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য অত্যাচার-নির্যাতন করে নাই বিএনপি। তাদের অন্যায়-অত্যাচার-জুলুম ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এসব অত্যাচার-নির্যাতন ভুলে গেলে চলবে না। জনগণের কাছে এসব বার বার তুলে ধরতে হবে। তারা যে পরিমাণ অত্যাচার করেছে আমরা ক্ষমতায় এসে তার কিছুই তো করলাম না।’

আরও পড়ুন