স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহতরা হলেন, পলাশ চাকমা, জেলা সভাপতি গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, তপন চাকমা, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, খাগড়াছড়ি জেলা শাখা, লটন চাকমা, যুগ্ম সম্পাদক পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, খাগড়াছড়ি জেলা শাখা, জিতায়ন চাকমা (স্বাস্থ্য সহাকারী) মহালছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বিধান চাকমা (চা দোকানদার), অনুপম চাকমা (ছাত্র)। এঘটনায় আহতরা হলেন, সমর বিকাশ চাকমা (৪৮), সুকিরন চাকমা (৩৫) ও সোহেল চাকমা (২২)। গুলিবিদ্ধ ৩ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরো জানা গেছে, গ্রামবাসীদের নিয়ে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) শনিবার সকালে একটি সমাবেশ ও বিক্ষোভ করার কথা ছিল, তার আগেই এই নরকীয় হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আনুমানিক সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শহরের অদূরে স্বনির্ভর বাজার ও আশপাশ এলাকায় আকস্মিকভাবে অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা গুলি করলে ঘটনাস্থলেই ৬ জন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই ইউপিডিএফ সমর্থক নেতা ও কর্মী। পুলিশ হতাহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ির আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় স্বনির্ভর বাজারের পুলিশ বক্সেও গুলি লাগে।
ইউপিডিএফ-এর জেলা সমন্বয়কারী অংগ্য মারমা ঘটনার জন্য সংস্কারপন্থী জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করেছে। অবশ্য জনসংহতি সমিতি অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি সাহাদাত হোসেন টিটো বলেন,ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে শিগগরিই আইনের আওতায় আনা হবে।