জমে উঠেছে লামা কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেডের নির্বাচন

purabi burmese market

১৯৯১ সালে ১০ জন সদস্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় লামা কো অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেড। বর্তমানে এ সমিতির সদস্য সংখ্যা শিশুসহ ২ হাজার ৩১০জন। এটি সরকারি রেজিস্ট্রেশন পায় ১৯৯৩ সালে। ১৯৯৫ সালে জাতীয় সমবায় পুরস্কার পায় সংস্থাটি। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তিন বছর পরপর গণতান্ত্রিক উপায়ে সংস্থার পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচিত হয়ে আসছে। তবে এবারের নির্বাচন সদস্যদের কাছে ভিন্নমাত্রা পেয়েছে। এখন সারা উপজেলায় এ নির্বাচন নিয়ে সমিতির সদস্য ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা চলছে।

আগামী ৫ ফেব্রুয়ারী বিশেষ সাধারণ সভার পর বেলা ১১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত উপজেলার আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১ হাজার ২৬৭ জন ভোটার সিসি ক্যামেরার আওতায় ভোট প্রয়োগ করবেন। ইতিমধ্যে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে। এখন প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রতীক পেয়ে প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। মোট কথা পুরোপুরি নির্বাচনী আমেজ বইছে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী ও ভোটারদের মাঝে। আবার প্রার্থীরাও ভোটারদের দিচ্ছেন নানা রকম প্রতিশ্রুতি।

সূত্রে জানা গেছে, সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ মোট পদ ৫টি। এই ৫টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন ১২জন প্রার্থী। এদের মধ্যে দুই জন ছাড়া বাকী ১০ জনই নতুন তরুণ প্রাথী। সভাপতি পদে লড়ছেন তিনজন। তারা হলেন-পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত সুপার ভাইজার প্রশান্ত ভট্টাচার্য্য (চেয়ার প্রতীক), কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরস্থ গীতা নিকেতনের অধ্যক্ষ বাসু কান্তি দাশ (প্রজাপতি) ও বাজার ব্যবসায়ী সমর কান্তি দাশ (ছাতা)। বিশ্বজিত দাশ (হাতপাখা) ও বাসু কান্তি পালিত (আম) সহ-সভাপতি পদে লড়ছেন। সাধারণ সম্পাদক হতে লড়ছেন বিপুল কান্তি নাথ (কলসী) ও উজ্জল দে (ফুটবল)। সবুজ চক্রবর্তী মোটর সাইকেল ও আশু কর্মকার তালা চাবি প্রতীক নিয়ে ট্রেজারার পদে আর সুমন কান্তি সুশীল বই প্রতীক, প্রবাল দাশ মাছ প্রতীক ও স্বরুপ ধর মই প্রতীক নিয়ে ডিরেক্টর পদে লড়ছেন। সভাপতি পদে প্রবীণ প্রার্থী প্রশান্ত ভট্টাচার্য্যরে সাথে সামিল হয়েছেন তরুন প্রার্থী বাসু কান্তি দাশ। এ কারণে কিছুটা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন ভোটাররা। প্রার্থী প্রশান্ত ভট্টাচার্য্য বলেন, সমিতিটি অনেক পুরনো। আগেও দুই বার সমিতির সভাপতির দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন করেছি। বর্তমানে এ সমিতির মূলধন ১৭-১৮ কোটি টাকা হলেও পূর্বের কমিটির কিছু কিছু দুর্বলতার কারণে সমিতিটি পিঁছিয়ে রয়েছে। তাই অসুস্থ শরীরেও সমিতির কাঙ্খিত উন্নয়ন, সমিতিকে এগিয়ে নিতে ও সমিতিটি রক্ষার্থে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। শতভাগ ভোটারও আমার ডাকে সাড়া দিচ্ছেন। নির্বাচিত হলে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সমিতির কাজ করবো। এদিকে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী বিপুল কান্তি নাথ নির্বাচিত হলে সমিতিতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন। একই ভাবে অন্য পদের প্রার্থীর মধ্যে কেউ কেউ পরিবর্তন চাই, পরিবর্তন সম্ভব, আবার কেউ এক যোগে এক সাথে, সমৃদ্ধির পথে’ করবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।

এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন গোটা পৌর এলাকার চায়ের স্টল, হোটেল রেস্তোরা থেকে শুরু করে বাজারের অলিগলিতে এখন চলছে শুধুই নির্বাচনী আলোচনা। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রতিদ্ব্দ্বী প্রার্থীদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে হোটেল, রেস্তোরাঁসহ পুরো হাট-বাজার সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা। প্রার্থীরা ভোটারদের মন জয় করতে ছুটছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি। হাত খুলে খরচ করতেও কৃপণতা করছেন না। তবে সমিতির সদস্যরা বলছেন, ভোটের আগে প্রার্থীরা সততা ও নিরপেক্ষতার সাথে সমিতি পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দিলেও ভোটের পরে আর এসব মনে রাখেনা।

এ বিষয়ে সংস্থাটির সাবেক সভাপতি মিন্টু কুমার সেন ও অন্তবর্তীকালীণ কমিটির সিনিয়র সদস্য রুপন চৌধুরী জানান, সমিতির আগেও নির্বাচন হয়েছে। তবে এবারের মতো ঝাঁকজমক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ নির্বাচন আর দেখা যায়নি। এবারে অধিকাংশ প্রার্থীই তরুণ। তাই যারা নির্বাচিত হবেন তারা আরো বেশি সমিতির উন্নয়নে কাজ করতে পারবেন বলে আশা করছি।

dhaka tribune ad2

সমিতির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রদীপ কান্তি দাশ ও সদস্য আশীষ কুমার দত্ত বলেন, সমিতির ১৩তম নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। শান্তি শৃঙ্খলা ও নিরপেক্ষতার সাথে একটি কেন্দ্রের ৬টি বুথের মাধ্যমে গোপন ব্যালটে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে ১জন প্রজাইডিং ও ৬জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন।

আরও পড়ুন
আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।