বুধবার বিকেলে তদন্ত কমিটির আহবায়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসাইন জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান এর হাতে এ তদন্ত প্রতিবেদনটি তুলে দেন। এসময় রাঙামাটি জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
ভবন ধ্বসের বিভিন্ন দিক বিবেচনায় রেখে তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। আর এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, যে স্থানে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে তা একেবারে ঢালু জায়গা এবং নির্মিত ভবনের জায়গার কোন কাগজপত্র নেই। তদন্ত কমিটির এ প্রতিবেদনে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কিছু সুপারিশমালাও পেশ করা হয়। এর মধ্যে ভবনের মালিক আবু তৈয়ব এবং কেয়ারটেকার মাঈনুদ্দিন টিটু সঠিক ভাবে ভবন রক্ষনাবেক্ষন না করায় অপরাধে দু’জনকে সমান দোষে দোষী সাব্যস্ত করে অপরাধ হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার প্রস্তাবনা গৃহীত হয়।
এ প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করে বলা হয় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে যারা ঝুকিপূর্ণ স্থানে জায়গা দখল করে ভাড়া দিয়ে লাভবান হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও একটি তালিকা তৈরি করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পৌরসভার চেয়ারম্যানকে অবহিত করে পত্র পেশ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৪ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৫টায় রাঙামাটি সরকারি মহিলা কলেজ এলাকায় একটি দ্বিতল ভবন ধ্বসে শিশুসহ পাঁচজনের মর্মান্তিক মৃত্যুতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভবন ধ্বসের কারণ সম্পর্কে অবহিত করার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
এ কমিটিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসাইনকে আহবায়ক করে ও গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুকোমল চাকমা ও রাঙামাটি পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আতিকুর রহমানকে সদস্য করে পরবর্তী ৪৫ দিনের মধ্যে ভবন ধসের কারণ সম্পর্কে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। আর এ কমিটি ২৬ দিনের মধ্যে ভবন ধ্বসের প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।