
স্থানীয় মেম্বার গণেশ ত্রিপুরা বলেন, নিহত ছাত্রীর মা জুম খেত থেকে ফিরে মেয়েকে না দেখে স্বজন ও স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে খোঁজাখুজি করে। রাত সাড়ে ১০টায় বাড়ির নিচের জঙ্গল থেকে ক্ষত বিক্ষত লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়।
বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক দয়ানন্দ ত্রিপুরা অভিযোগ করে বলেন, খাগড়াছড়িতে গত ৩ মাসে ৫ কিশোরী ও শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। গতরাতে ধর্ষণের পর এক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এসব ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান তিনি।
রোববার সকাল থেকে খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছের গুড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে স্থানীয়রা। খাগড়াছড়ির সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, জেলা প্রশাসক মো: রাশেদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আলী আহমদ খান এলাকায় গিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের খুঁজে বের করার আশ্বাসের ভিত্তিতে বেলা ১টায় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পুনাতি ত্রিপুরার মৃত্যুতে শোকের মাতম নয়মাইলের ত্রিপুরা পল্লীতে। সহপাঠীকে শেষবারের মতো দেখতে বাড়িতে ছুটে যায় নয় মাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।



