বান্দরবানের রাজকর আদায়ের উৎসব ১৩৯ তম রাজ পূণ্যাহ মেলায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর,২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো: জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার, ৬৯ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুবায়ের সালেহিন, পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা ও খাগড়াছড়ির জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কং জরী চৌধুরী ও পৌর মেয়র ইসলাম বেবীসহ অনেকে।
পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর বলেন, শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে বলে আজ পাহাড়ে আজ শান্তির সুবাতাস বইছে, এইসময় তিনি রাজপূণ্যাহ উপলক্ষে বান্দরবানবাসীকে শুভেচ্ছা জানান।
সকালে বোমাংরাজা উ চ প্রু চৌধুরী ঢাল ও তলোয়ার নিয়ে রাজ ভবন থেকে নেমে আসেন। পরে তিনি অতিথিদের নিয়ে শহরের রাজার মাঠে রাজপূণ্যাহ উৎসবে যোগ দেন। মেলায় জেলার ১১টি আদিবাসী সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য মন্ডিত মনোজ্ঞ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। তিনদিন ব্যাপি এই মেলা পাহাড়ী-বাঙ্গালীদের মিলন মেলায় পরিনত হয়, মেলা প্রাঙ্গনে আসে শত শত বিভিন্ন ধরণের ষ্টল। মেলাকে ঘিরে দেশি- বিদেশী পর্যটকদের ভীর জমেছে বান্দরবানে।
আরো জানা যায়, বর্তমানে রাঙ্গামাটিকে চাকমা সার্কেল, বান্দরবানকে বোমাং সার্কেল এবং খাগড়াছড়িকে মং সার্কেল হিসাবে গণ্য করা হয়। প্রায় ১৭৬৪ বর্গমাইল এলাকার বান্দরবানের ৯৫টি, রাঙামাটির রাজস্থলি ও কাপ্তাই উপজেলার ১৪টি মৌজা নিয়ে বান্দরবান বোমাং সার্কেল। দুইশত বছরের ঐতিহ্য অনুসারে বছরে একবার এই মেলা আয়োজন করা হয় বোমাং সার্কেলের পক্ষ থেকে।
এদিকে,রাজপূণ্যাহ মেলাকে ঘিরে বান্দরবানের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, অনুষ্ঠানস্থলে ৪শ পুলিশের পাশাপাশি লাগানো হয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামরা।