রোববার সকালে সচিবালয়ে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শাহজাহান খানের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এম,পি, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা,বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লাসহ অপর দুই পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সার্কেল চীফ, জাতীয় নদীরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মো. আতাহারুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান এম মোজাম্মেল হক উপস্থিতি ছিলেন।
সভায় নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শাহজাহান খান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের কাচালং, মাইনি, কর্ণফুলী, ইছামতি, চেঙ্গি, মাতামুহুরি, সাঙ্গু, ফেনীসহ পার্বত্য এলাকার অন্যান্য নদীগুলো খনন করা হবে। তিন পার্বত্য জেলায় তিনটি স্থলবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সভায় পাহাড়ের নদীগুলোকে দখল-দূষনমুক্ত রাখতে, ঝিড়ি-ঝর্ণা ও পাহাড় থেকে বেআইনী পাথর উত্তোলন বন্ধ, নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন বন্ধের জন্য সুপারিশ করা হয়।
তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের নদীগুলো খনন করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হবে। বিআইডব্লিউটিএর মাধ্যমে এ কাজ শুরু করা হবে। নদী খননের পর মাটি দিয়ে নদীর তীরবর্তী জায়গাগুলো ব্যবহার উপযোগি করা হবে।
মন্ত্রী শাহজাহান খান বলেন, দেশের প্রধান নদীগুলোর অনেক শাখা নদী আছে। আমরা দেখব সেগুলোর কোনগুলো খনন করা যায়। এজন্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের যে সহায়তা প্রয়োজন হবে তাও আমরা নেব। তিনি আরো বলেন, খাগড়াছড়ির রামগড়ে একটি স্থলবন্দর নির্মাণ করা হবে। রামগড়-সাব্রুম স্থল বন্দরের কাজ আমার শিগগিরই শুরু হবে। এ ছাড়া বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম স্থলবন্দর ও রাঙ্গামাটির তেগামুখ স্থলবন্দর স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’
এই ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এম,পির এপিএস সাদেক হোসেন চৌধুরী পাহাড়বার্তাকে বলেন,সভায় মিয়ানমার সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার চাকঢালায় স্থলবন্দর নির্মাণ করা হলে সীমান্ত বাণিজ্যে সফলতা আসবে বলে মনে করেন উপস্থিত নেতৃবৃন্দ।