বান্দরবানে শুরু হয়েছে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব মাহা‘ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ‘। বা প্রবারণা পূর্ণিমা। উৎসবকে ঘিরে মারমা পল্লী গুলোতে চলছে উৎসবের নানা আয়োজন। আর এই উৎসব আনন্দ যাতে নির্বিঘ্নে হয়, সেজন্য উৎসবকে ঘিরে গড়ে তোলা হয়েছে নিরাপত্তা বলয়।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এ উৎসবকে ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হবে জেলার উৎসবস্থলগুলো। নিরাপত্তা জোরদার করতে প্রস্তুত থাকবে পুলিশের সবকটি ইউনিট ছাড়ারও র্যাব। নজরদারিতে থাকবে চৌকস গোয়েন্দা টিম, সর্বাক্ষনিক সিসি ক্যামেরায় রাখা হবে নজর।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাহা ‘ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ‘ উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ বৌদ্ধ বিহারগুলোত রং-বেরংয়ের হাজারো ফানুস ওড়ানো ও রথটানা। ৮ অক্টোবর থেকে ১১ অক্টোবর জেলা শহরের পুরাতন রাজবাড়ি মাঠে আয়োজন করা হয়েছে ৪দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি। অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া অনুষ্টান, ছোয়াইং দান, বিশেষ প্রার্থনা, ফানুস উড়ানো, বর্ণাঢ্য রথযাত্রা ও রথ উৎসর্গসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এ উৎসবে আদিবাসী বৌদ্ধধর্মানুসারীরা রাত জেগে পাড়ায় পাড়ায় আদিবাসী তরুন-তরুণীরা বৈচিত্রময় নানা ধরনের পিঠাপুলি তৈরির কাজ করেন।
বান্দরবান মাহা ‘ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ‘ উৎযাপন কমিঠির সাধারন সম্পাদক শৈটিংওয়াই মারমা বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারো মাহা ‘ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ‘ পালনের জন্য ইতিমধ্যে সব প্রস্তুতি শেষে আমরা উৎয়াপন। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ উৎসবকে ঘিরে জোরদার করা হবে নিরাপত্তা।
আদিবাসীদের এই উৎসবের ফানুস ওড়ানো ও রথযাত্রা দেখতে প্রতি বছরের মত এবারও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরাও এসে ভিড় করছেন, হোটেল মোটেলগুলোতে তিল ধরণের ঠাই নেই। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতেও নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা।
এই ব্যাপারে বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রবারনা উৎসবে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পোশাকধারী ও সাদা পোশাকে আইনশৃংখলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে, এছাড়াও অনুষ্ঠানটি ভিডিও করে রাখা হবে।
প্রসঙ্গত, বৌদ্ধ অনুসারীরা তিন মাসব্যাপী বর্ষাবাস শেষে শীল পালনকারীরা প্রবারণা পূর্ণিমার দিনে বৌদ্ধ বিহার থেকে নিজ সংসারে ফিরে যাবেন।