বান্দরবান-রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন : বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত

NewsDetails_01

টানা বর্ষনের পানিতে তলিয়ে যাওয়া বান্দরবানের পলুপাড়া ব্রিজ
গত দুইদিনের টানা বর্ষনের কারনে বান্দরবানের সাথে রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আজ সোমবার সকালে বান্দরবানের পলুপাড়া ব্রিজ প্লাবিত হওয়ায় বান্দরবানের সাথে রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে উভয় পাশে আটকা পড়ে যানবাহনসহ যাত্রীরা।
বান্দরবান-রাঙামাটি সড়কের জেলার সাংগু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারনে জেলার লামা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে।
টানা দুই দিনের মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলের পানিতে বান্দরবানের লামা পৌর এলাকাসহ উপজেলার দু’একটি ইউনিয়নের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। মাতামুহুরী নদী, লামাখাল, বমুখাল, ইয়াংছা খাল,বগাইছড়িখাল ও পোপা খালসহ বিভিন্ন স্থানের পাহাড়ি ঝিরিগুলোতে অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে বিভিন্ন পেশাজীবির প্রায় ১০ হাজার মানুষ। কর্মহীন হয়ে বেকায়দায় পড়েছে ওইসব এলাকার শ্রমজীবি মানুষগুলো। একটানা বৃৃষ্টির কারণে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসও দেখা দিয়েছে।
এদিকে নদী তীরবর্তী ও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরে যেতে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রশাসন মাইকিং করে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে।
লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার জানান, পাহাড়ি ঢলের পানিতে ইয়াংছা বাজারের একাংশ প্লাবিত হয়েছে। খাল ও ঝিরির পানি বৃদ্ধি পেয়ে লামা পৌরসভা, লামা সদর, গজালিয়া, ফাইতং, ফাঁসিয়াখালী, আজিজনগর, সরই ও রুপসীপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানের প্রায় ১০ হাজার মানুষ গৃহবন্দি হয়ে দুর্ভোগে রয়েছে।
সাঙ্গুনদীর পানি বিপদ সীমার উপরে প্রবাহিত হওয়ায় নৌ পথে ভ্রমন ঝুঁকিপূর্ন হওয়ার কারনে জেলার থানচি উপজেলার রেমাক্রি, তিন্দু, নাফাকুম, বড় মদক ও ছোট মদকে পর্যটক যাতায়ত বন্ধ আছে।
প্রসঙ্গত, প্রতিবছর বান্দরবান জেলায় বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধসে বান্দরবানে নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন