মাতৃ শোককে পেছনে ফেলে মানুষের পাশে এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা

NewsDetails_01

বয়োবৃদ্ধ মা উমাদিনী ত্রিপুরা (৯৬) মারা গেলেন মাত্র চারদিন আগে। সেই শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি এখনো। এরিই মধ্যে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশও কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত। পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে রোগী না থাকলেও সারাদেশের সরকারি বিধি নিষেধে পড়ে অনেক দরিদ্র মানুষ এখন জীবন-জীবিকার চরম সংকটে।

সেসব মানুষের কথা ভেবে জীবন ঝুঁকি নিয়েই মাঠে নামতে হয়েছে প্রতিমন্ত্রী পদ-মর্যাদার শরণার্থী টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান ও খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে।

তিনি জাতির এই ক্রান্ত্রিলগ্নে পারিবারিক শোকে চুপ না থেকে বুধবার থেকে নিজ উপজেলা দীঘিনালার দরিদ্র পাহাড়ি-বাঙালি মানুষের দ্বারে দ্বারে নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার ও ভোগ্যপণ্য নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। প্রাথমিকভাবে নিজের ব্যক্তিগত এবং দলের সামর্থবান সহকর্মীদের সমন্বয়ে গড়ে তুলেছেন ২০ লক্ষ টাকার একটি নগদ তহবিল।

NewsDetails_03

সে তহবিল থেকে আজ বুধবার (১ এপ্রিল) দীঘিনালা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কয়েক’শ মানুষের হাতে দলীয় সহকর্মীদের সাথে নিয়ে তুলে দিয়েছেন কয়েক দিনের প্রয়োজনীয় খাদ্য ও ভোগ্যপণ্য।

তিনি এ প্রতিবেদককে জানান,‘এই দুর্যোগ কবে নাগাদ কাটবে; সেটি আমাদের কারোই জানা নেই। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী মাঠে কাজ করছে বেসামরিক প্রশাসনের পরম সহযোগী হিশেবে। আমাদের দল এবং সরকারের বিভিন্ন সংস্থাও মাঠে সক্রিয়।
তিনি জাতির এই সংকটকালে সকলকে জাতি-ধর্ম-দল-মত নির্বিশেষে সকলকে সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান।

জেলা আওয়ামী লীগের সা: সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাননীয় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা’র নির্দেশনায় দলের সামর্থ্যবান নেতাকর্মীদের দান-অনুদানে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এটি করোনা দুর্যোগের শেষ না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হাজী মো: কাশেম জানান, এটি জাতি-রাষ্ট্রের কঠিন চ্যালেঞ্জ। এই বিপদ মোকাবিলায় এমপি মহোদয়ের নেতৃত্বে দলের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করায় জরুরী।

আরও পড়ুন