রাঙ্গামাটিতে কঠিন চীবর দান উৎসব শুরু

NewsDetails_01

রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ৪৫তম দানোত্তম কঠিন চীবর দান শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে চাকমা রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বেইন ঘর এবং চরকায় সুতা কেটে দুই দিনের কঠিন চীবর দান উৎসবের সূচনা করেন। আজ শুক্রবার বিকেলে ভিক্ষু সঙ্ঘের কাছে চীবর দান করা হবে। এ উৎসবকে ঘিরে বসেছে গ্রামীণমেলা।
জানা গেছে, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পরিধেয় গেরুয়া কাপড়কে বলা হয় চীবর। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তুলা থেকে চরকায় সুতা কেটে, সুতা রঙ করে আগুনে শুকিয়ে সেই সুতায় তাঁতে কাপড় বুনে চীবর তৈরি করে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দান করা হয় বলে এর নাম কঠিন চীবর দান।
পার্বত্য এলাকার বৌদ্ধদের এ উৎসব পালিত হয় প্রাচীন নিয়মে। প্রাচীন নিয়ম মতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চীবর তৈরি করে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের উৎসর্গ করা হয়। বিশ্বের আর কোথাও এ নিয়মের প্রচলন নেই। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মতে, জগতে যত প্রকার দান রয়েছে তার মধ্যে এ চীবর দানই হচ্ছে সর্বোত্তম দান।
বৃহস্পতিবার চরকায় সুতা কেটে চীবর প্রস্তুতের কাজ সূচনা করা হয়। রাজবন বিহারের বিশাল এলাকাজুড়ে ৮০টি চরকা ও ১৮২টি বেইন স্থাপন করা হয়। প্রায় ছয় শতাধিক মহিলা এই চীবর প্রস্তুত কাজে অংশগ্রহণ করেন। উৎসবকে নিভিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

আরও পড়ুন