সূত্র জানায়, ১৮/১৯ বছর আগে বন বিভাগ, বৃটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সংস্থা লামা-আলীকদম-ফাঁসিয়াখালী সড়কের দু’পাশে বিভিন্ন প্রজাতির হাজার হাজার ফলজ ও বনজ গাছের চারা রোপন করে। যা সড়কের শোধা বর্ধনের পাশাপাশি সড়ক ভাঙ্গনসহ পাহাড়ি সড়কে দুর্ঘনার সময় যানবাহনগুলোকে খাদে কিংবা হাজার ফুট গভীরে পড়া থেকে রক্ষা করে আসছে। ইতিমধ্যে ওইসব গাছগুলো পরিপক্ক হতে শুরু করলে বেশ কয়েকটি সংঘবদ্ধ চোর সিন্ডিকেটের কু-নজর পড়ে। তারা এসকল মূল্যবান গাছগুলো রাতের আঁধারে অবাধে কেটে নিয়ে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার ভোরে লামা-ফাঁসিয়াখালী সড়কের মধুঝিরি নামক স্থান থেকে ৩০-৩৫ বছর বয়সী একটি তুলা গাছ চুরির উদ্দেশ্যে কেটে ফেলে স্থানীয় আলা উদ্দিন সিন্ডিকেট। এ সময় কাটা গাছটি বৈদ্যুতিক সংযোগের ওপর পড়ে। এতে করে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে রবিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত লামা, আলীকদম, বমুবিলছড়ি ও মানিকপুর এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ভোগান্তিতে পড়ে হাজার হাজার গ্রাহক। পরে সড়ক ও জনপদ বিভাগের লোকজন খবর পেয়ে গাছ কাটার সঙ্গে জড়িত আলা উদ্দিনকেসহ গাছটি আটক করে।
আটক আলা উদ্দিন সাংবদিকদের বলেন, জনৈক জালাল আহম্মদের কাছ থেকে গত শনিবার চার হাজার টাকায় গাছটি কিনেন তিনি। শ্রমিক নিয়ে গাছটি কাটার সময় বিদ্যুৎ সংযোগের ওপর পড়লে তার ছিঁড়ে যায়।
এ বিষয়ে লামা বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের আবাসিক প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ ছিদ্দিক বলেন, গাছটি কাটার সময় মেইন দুইটি বিদ্যুৎ সংযোগের ওপর পড়ে। এসময় ৩৩ হাজার কেভি সংযোগের চার পয়েন্টের তার ছিড়ে যায় এবং বিদ্যুতের দুটি খুটি বাঁকা হয়ে যায়। এছাড়া পাশের ১১ হাজার কেভির বিদ্যুৎ লাইনের একটি ইনসেলেটর ভেঙ্গে যায়। এতে দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
সড়কের গাছ কেটে চুরির চেষ্টায় জড়িত আলা উদ্দিনকেসহ গাছটি আটকর সত্যতা নিশ্চিত করে সড়ক ও জনপদ বিভাগের লামা কার্যালয়ের ওয়ার্ক সুপারভাইজার রবি জয় চাকমা বলেন,এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।