স্থানীয়রা জানায়, তামাক প্রক্রিয়া জাতকরনের কাজে বৃক্ষ নিধনের মহোৎসবকে আড়াল করতে এবং সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনের লক্ষ্যে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানী কর্তৃক লামা-ফাঁসিয়াখালী, লামা-সুয়ালক ও লামা-আলীকদম সড়কের দু’পাশে অপরিকল্পিতভাবে রেইনট্রি গাছ রোপন করে। যা খুব দ্রুত বেড়ে উঠে এবং ডালপালা ছড়িয়ে পড়ে। আবার সামান্য ঝড়ো হাওয়ায় এসকল গাছের ডাল-পালা ভেঙে গিয়ে প্রায় সময় তারের ওপর গাছ ভেঙ্গে পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।
বিদ্যুৎ বিভাগ বিভিন্ন সময় এসকল গাছের ডালপালা কাটার জন্য মোটা অংকের টাকা বরাদ্দ দিলেও সেখানে সংশ্লিষ্টদের নয়ছয়ের কারনে পুরো সুফল পাওয়া যায়না। সর্বশেষ সম্প্রতি মোরা তান্ডবে সড়কের পাশের এসব গাছ ব্যাপক হারে ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎ লাইনের উপর। এর ফলে বিদ্যুৎ এর খুঁটি ভেঙে এবং তারের ওপর গাছ ভেঙ্গে পড়ে পুরো বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বিদ্যুৎ বিভাগ নিজস্ব লোকজনের সাথে অতিরিক্ত লোক নিয়ে রাত দিন কাজ করেও গত ১০-১২ দিনেও পুরোপুরি সচল করতে পারেনি।
লামা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মো. শাহজাহান জানান, সড়কের পাশে বৃটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ’র সৃজিত গাছের ডালপালা যাত্রীবাহি গাড়ির ওপর ভেঙ্গে পড়ে মানুষ নিহত ও আহতের ঘটনা ঘটেছে। তাই এসকল গাছ কেটে ফেলে ডালপালা বেশি ছড়ায়না; এরকম ভালো জাতের গাছ লাগানো দরকার।
প্রানহানীর মতো বড় দূর্ঘটনা এড়াতে এবং বর্ষা মৌসুমে বিদ্যুৎ র্নিবিঘ্ন করতে সড়কের পাশের অপরিকল্পিত বনায়নের ফলে বেড়ে উঠা রেইনট্রি গাছ কেটে ফেলে তাল গাছ লাগানোর দাবি জানান স্থানীয়রা।
লামা বাজার পাড়ার বাসিন্দা মো. নবীর উদ্দিন বলেন, সড়কের পাশে অপরিকল্পিতভাবে লাগানো এসকল গাছ সম্পূর্ণ কেটে ফেলে তাল গাছ কিংবা বেশি ডালপালা ছড়ায়না এ গাছ লাগালে একদিকে সড়কের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি সামান্য ঝড়-বাতাসে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পাবে এলাকাবাসী।
সড়কের পাশে রেইনিট্রি গাছ লাগানোর ফলে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে লামা বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্রের আবাসিক প্রকৌশলী অলিউল ইসলাম বলেন, রেইনিট্রি গুলো সামান্য বাতাসে ভেঙ্গে পড়ে, তাই এসব অপসারণ করে তাল, গর্জনসহ শক্ত জাতের গাছ লাগানো জরুরী হয়ে পড়েছে।