শনিবার সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে ভাস্কর্য অপসারণ, বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশি হামলা ও নেতাকর্মীদের আটকের প্রতিবাদে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের মানববন্দন কর্মসূচিতে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি অভিজিৎ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে ও শহর ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মধুলাল তনচংগ্যার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন,জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মিশু দে,প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রান্ত রনি,সদস্য বিধান চাকমা, শহর ছাত্রফ্রন্টের আহবায়ক আশাধন চাকমা,সদস্য সুনীল চাকমা ও সুজন তঞ্চংগ্যা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সরকার হেফাজতের একের পর দাবি মেনে দেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্টে পরিণত করেছে।পাঠ্যপুস্তকে ভুল ও প্রগতিশীল লেখকের লেখা বাদ দিয়ে শিক্ষাকে হেফাজতি করণ করেছে। কিন্তু বিগত কোন সরকার এ কাজ করতে সাহস করেনি। সরকার এখন হেফাজতিদের প্রেসক্রিপশনে রাজনীতি করছে বলে দাবি করেন বক্তারা।
বক্তারা মানববন্দন থেকে ছাত্রনেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি ও ভাস্কর্য পুনঃস্থাপনের জোর দাবি জানান এবং তা নাহলে অবিলম্বে ছাত্র ইউনিয়ন ও প্রগতিশীল ছাত্রজোট কঠোর আন্দোলনের দিকে এগিয়ে যাবে।
মানববন্দন শেষে জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বনরুপায় গিয়ে শেষ হয়।