অযত্ন অবহেলায় লামা উপজেলা গণ পাঠাগার

NewsDetails_01

লামা উপজেলা গণপাঠাগার
বান্দরবানের লামা উপজেলা প্রশাসনের একমাত্র গণপাঠাগারটি দীর্ঘদিন ধরে অযত্ন, অবহেলা ও অব্যবস্থাপনায় পড়ে আছে। প্রশাসনের নথিতে সরকারিভাবে গণপাঠাগার থাকলেও বাস্তবে এর কোন কার্যক্রম নেই, ফলে পাঠাগারটির অস্তিত্ব বর্তমানে বিলুপ্তির পথে। স্থানীয় সচেতন মহলের মতে, প্রজন্মের জ্ঞানার্জনের অন্যতম সরকারি গণপাঠাগারটি সচল করা অতীব জরুরী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জ্ঞানার্জনের লক্ষে সরকারি অর্থায়নে উপজেলা পরিষদের জায়গায় গণপাঠাগারটি প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৯০ সালে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে ১১ সদস্য বিশিষ্ট পাঠাগার পরিচালনার জন্য একটি কমিটিও রয়েছে। পাঠাগারের নামে কৃষি ব্যাংকে রয়েছে একটি হিসাব নম্বর। সরকারিভাবে বিভিন্ন সময়ে পাঠাগারের উন্নয়নে অনুদানও প্রদান করা হয়েছিল। টিন সেড পাঠাগার ভবনের জন্য তৎকালীণ সময়ে স্থানীয় এবং সরকারি অনুদান দিয়ে ৫ শতাধিক বই ও আসবাবপত্র ক্রয় করা হয়। পত্রিকার দোকান থেকে পাঠাগারের নামে একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকাও বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এদিকে সরেজমিন পরিদর্শনে পাওয়া যায়নি কোন পাঠক রেজিস্টার ও বই। ভবনের চারিদিকে রয়েছে ময়লা আবর্জনার ভাগাড়। রয়েছে একটি বড় আকারের সাইন বোর্ড। পুরো ভবনে পোকা মাকড়ে বাসা বেঁধেছে। দরজা জানালায় পোকা ধরেছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আসবাসপত্র। পাঠাগারের একটি কক্ষ গত ৩০ জুন পর্যন্ত উপজেলা পরিসংখ্যান অফিস মাসিক ১২ শত টাকা ভাড়ায় ব্যবহার করেছে। ভাড়ার টাকা পাঠাগারের নামের কৃষি ব্যাংকের হিসাবে নিয়মিত জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিসংখ্যান অফিস কর্তৃপক্ষ। পাঠাগারের জন্য একজন লাইব্রিয়ান ও রয়েছে বলেও জানা গেছে।
শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেন, নাহিদ, কামরুল ইসলাম জানায়, যুব সমাজকে বিপদগামীতার হাত থেকে রক্ষার জন্য পাঠাগার অন্যতম ভূমিকা পালন করে। শিক্ষিত জাতি গঠনে পাঠাগারের বিকল্প নেই। উন্নয়নের নামে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হলেও লামা গণপাঠাগার উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনায় প্রশাসন কোন ধরণের কার্যক্রম গ্রহণ করেনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি সাংবাদিকদের বলেন,আমি উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি। পাঠাগার সংক্রান্ত বিষয়টি এখনো আমার সামনে উপস্থাপিত হয়নি। খোঁজ নিয়ে পাঠাগারটি চালুর উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন