আজ মধ্যরাত থেকেই রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা শুরু

NewsDetails_01

রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা শুরু হচ্ছে আজ (১০ আগষ্ট) মধ্যরাত থেকে। মাছ আহরণে রাঙামাটির জেলেরাও মাছ ধরার প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শেষ করেছে। সোমবার রাত ১২টার পর হতে তারা আবার নদীতে জাল ফেলে মাছ সংগ্রহ করে বিক্রি করে হাতে নগদ টাকা পাবে তাই জেলে পাড়ার পরিবারগুলোতে যেন ঈদের আনন্দ বইছে। ১ লা মে শুরু হওয়া নিষেধাজ্ঞা ১০ আগষ্ট মধ্যরাতে শেষ হবে।

রাঙামাটি সদরের অধীন পুরান-নতুন জালিয়া পাড়া, ইসলামপুর, শরিয়তপুর, সাঁওতাল পাড়াতে গিয়ে দেখা গেছে, কেউ পুরাতন জাল মেরামত করছে, কেউ নতুন জাল বুনছে এবং কেউ মাছ ধরার নৌকা/ ট্রলার মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছে। জেলে পরিবারের নারী ও শিশু সদস্যরাও বসে নাই। তারাও জেলেদের সাহায্য করছে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সরকার জেলেদের ২০ কেজি করে চাল খাদ্য সহায়তা প্রদান করলেও যা ছিলো অপ্রতুল।

জেলেদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় প্রত্যেক জেলের মাথার উপর এনজিও অথবা দাদন ব্যবসায়িদের ঋণের কিস্তি ঝুলছে। সবাই তাদের সঞ্চয় ভেঙে দিনগুলো কোন ভাবে পার করছে। মাছ আহরণ ভালো হলে নানা দুর্দশা থেকে মুক্তি পাবে বলে মনে করছেন স্থানীয় জেলেরা।

পুরাতন জালিয়া পাড়ায় নৌকা মেরামতে ব্যস্ত জেলে সুভাস দাশ (৪২) জানান, জেলেদের মাছ ছাড়া আর কোন উপার্জন নাই। তাই নিষেধাজ্ঞা কালীন সময়ে যা সঞ্চয় ছিল তা শেষ হয়ে গেছে। নিষেধাজ্ঞার পর মাছ না পেলে তাদের দুর্দশা আরও বাড়বে বলে সুভাস দাশ জানান।

NewsDetails_03

একই পাড়ার জেলে নেপাল দাশ (৪৪) জানান, নিষেধাজ্ঞার সময় সরকারের দেয়া ২০ কেজি চালে তাদের সংসার চলে না। তিনি খাদ্য সহায়তা বাড়াবার জন্য সরকারের নিকট দাবি জানান।

কাপ্তাই হ্রদে প্রাকৃতিকভাবে মাছে প্রজনন বৃদ্ধি, পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধির জন্য প্রতি বছর মে থেকে জুলাই পর্যন্ত তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ ও বাজারজাতকরণ বন্ধ থাকে।

একটি হিসাব মতে, জেলায় প্রায় ১৯ হাজার জেলে ছাড়াও মাছ ব্যবসার সাথে জীবিকা নির্বাহ করছেন প্রায় লক্ষাধিক মানুষ।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) তথ্য মতে, গড়ে প্রতি বছর কাপ্তাই হ্রদ হতে মাছ আহরণ হয় ১০ থেকে ১১ হাজার মেঃ টন। যার বিপরীতে রাজস্ব আয় হয় ১৪ থেকে ১৫ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন