ঈদের ছুটিতে পর্যটক কম বান্দরবানে

NewsDetails_01

ভ্রমণপিপাসুদের কাছে পর্যটন স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হলো পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান জেলা। কিন্তু বান্দরবানের বিভিন্ন উপজেলায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চলমান থাকায় এবং ৩ উপজেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ঈদুল আজহার এই বন্ধে বান্দরবানে পর্যটক কম, এতে হতাশ জেলার পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

বিভিন্ন পরিমান ছাড় ঘোষণার পরও পর্যটকদের আশানুরুপ দেখা মিলছে না পর্যটন নগরী বান্দরবানে। জেলার হোটেল মোটেল আর বিনোদন কেন্দ্রগুলো এবারের ঈদে অনেকটাই ফাঁকা। ঈদের টানা ছুটিতে পর্যটকদের সুবিধার জন্য জেলার সব হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস ২০শতাংশ, নীলাচল ও মেঘলা পর্যটনকেন্দ্র্র ২০শতাংশ ছাড় দিয়েও ঈদের এই বন্ধে বান্দরবানে নেই পর্যটক এর সমাগম, আর এতে বিপুল পরিমান লোকসানে পড়ার শংকায় রয়েছে পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

বান্দরবান শিশু পার্ক এর পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, কোরবানীর ঈদ উপলক্ষ্যে এবার বান্দরবান শিশু পার্কে প্রচুর পর্যটক সমাগম হবে এই প্রত্যাশায় প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করেছিলাম, বিভিন্ন হোটেল মোটেল ও বিনোদনকেন্দ্রে ছাড় ঘোষনা দেয়া হয়েছে তারপরেও বান্দরবানে পর্যটক কম।

বান্দরবানের আবাসিক হোটেল হিলভিউ এর ম্যানেজার পারভেজ জানান, প্রতি বছর ঈদের ছুটিতে আমাদের হোটেলের সবগুলো রুম আগে থেকে বুকিং হয়ে যেত, কিন্তু এবার আগাম কোন বুকিং নেই। ছুটি শুরু হওয়ার পরও হোটেলগুলো খালি। ২০ শতাংশ ছাড় দেয়ার পরও পর্যটক বান্দরবানে ঘুরতে আসছে না।

পাহাড়ের চলমান অস্থিতিশীল পরিবেশ এবং তিন উপজেলায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকায় কম পর্যটক আসছে বলে জানান, বান্দরবানের আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম।

NewsDetails_03

তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে পর্যটক বরণে বিভিন্ন প্রস্তুতি নিয়েছে বান্দরবানের পর্যটন সংশ্লিষ্টরা, পর্যটকদের আকর্ষণে দেয়া হয়েছে নানা রকম ছাড়ের অফার। তবে জেলার তিনটি উপজেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা বলবত থাকায় ঈদুল আজহার এই বন্ধে বান্দরবানে পর্যটকদের আগমন নেই তেমন, ফলে পর্যটন খাতে দৈনিক প্রচুর লোকসান হচ্ছে।

বান্দরবানের আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম আরো বলেন,পার্বত্য জেলা বান্দরবানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের কারণে ২০২২সালের অক্টোবর মাস থেকে জেলার রুমা রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় কয়েক দফা পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে প্রশাসন, আর এরপর থেকে থমকে যায় জেলার পর্যটন শিল্প। এদিকে ৩উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা থাকলে ও বান্দরবান সদর, আলীকদম, লামা এবং নাইক্ষ্যংছড়িতে পর্যটকদের ভ্রমনে কোন বাঁধা নিষেধ নেই।

এদিকে বান্দরবানে বেড়াতে আসা সকল পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসন সচেষ্ট রয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, বান্দরবানের তিনটি উপজেলায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও চারটি উপজেলায় পর্যটকরা অনায়াসে ভ্রমণ করতে পারছে। পর্যটকরা যাতে নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারে সেজন্য সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি পর্যটন স্পটে পর্যাপ্ত টুরিস্ট পুলিশ এর পাশাপাশি সাদা পোশাকধারী পুলিশ নিয়মিত টহল পরিচালনা করছে।

জেলা প্রশাসক আরো বলেন, বান্দরবানের ৩ উপজেলায় ভ্রমনে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বাদবাকী চারটি উপজেলায় পর্যটকরা ঘুরে এখন প্রচুর মজা পাবে আর ৪টি উপজেলায় প্রচুর দর্শনীয়স্থান রয়েছে যা পর্যটকদের অনেকের কাছে নতুন।

আরও পড়ুন