খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক দম্পতির বিরুদ্ধে সাংবাদিকের মামলা

NewsDetails_01

খাগড়াছড়িতে ডিজিটাল নিরাপত্তা ও পর্ণোগ্রাফী আইনে সাংবাদিক দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে খাগড়াছড়ির জ্যেষ্ঠ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোরশেদুল আলমের আদালতে খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নুরুল আজম। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আগামী ৩ মার্চের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য খাগড়াছড়ি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছে।
মামলার অভিযোগে নুরুল আজম উল্লেখ করেন, সাংবাদিক জীতেন বড়ুয়া ও তার শিক্ষিকা স্ত্রী মিলে গোপন ভিডিও ধারণ করে তা দিয়ে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে টাকা আদায় করে আসছে। তারই
ধারাবাহিকতায় নুরুল আজমের কাছে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় তার ফেসবুক আইডি হ্যাকের মাধ্যমে মিথ্যাচার ও চরিত্রহনন করে ১০ কোটি টাকার মানহানি করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
বাদীর আইনজীবী এডভোকেট আবদুল মমিন জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ৩৪, ২২, ২৩, ২৫(ক), ২৯, ৩১ ধারা, পর্ণোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(২ ও ৪) ধারা এবং দণ্ডবিধি আইনের ৪২০, ২০৯, ৩৮৫, ৫০৫(ঘ) ও ৩৪ ধারায় সাংবাদিক
নুরুল আজম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। খাগড়াছড়ির জ্যেষ্ঠ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: মোরশেদুল আলমের আদালতে মামলা দায়ের করেন। সিআর মামলা নং ২৮/১৯। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আগামী ৩ মার্চের মধ্যে খাগড়াছড়ি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
সাংবাদিক জীতেন বড়ুয়া বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে নুরুল আজম মামলা করেছে। কিছুদিন আগে সে আমার স্ত্রীর আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। তাই নিজের দোষ আড়াল করতে আমাদের বিরুদ্ধে উল্টো মামলা করেছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ জানুয়ারী খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি জীতেন বড়ুয়ার স্ত্রী সাংবাদিক নুরুল আজমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে ২০ জানুয়ারী আদালত তাকে জামিনে
মুক্তি দেন।

আরও পড়ুন