দীঘিনালায় সূলভ মূল্যের কার্ড নিয়ে কারসাজি

ওরা সম্পদশালী

NewsDetails_01

খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মেরুং ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় সূলভ মূল্যের কার্ড নিয়ে কারসাজির অভিযোগ উঠেছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, হতদরিদ্রের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত সূলভ মূল্যের বাতিল হওয়া কার্ডগুলো জনপ্রতিনিধিরা সংশোধন করে সম্পদশালী একই পরিবারে তিনজনের নামে পরিবর্তন করেছে। সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য বলছেন এ বিষয়ে চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে। আর চেয়ারম্যান বলছেন, পরবর্তীতে কার্ডগুলো সংশোধন করা হবে। অবশ্য জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস জানান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, মেরুং ইউপির ৫ নং ওয়ার্ডের ছোটমেরুং এলাকার নাজির আহমেদ’র ছেলে আবদুল হক, আবদুল হকের দুই ছেলে বিল্লাল হোসেন ও মনির হোসেনকে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় নতুন তিনটি কার্ড করে দিয়েছে জনপ্রতিনিধিরা। আবদুল হক ছোট মেরুং বাজারের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ী। তার একটি কাপড়ের দোকান রয়েছে। পাশাপাশি তার ছেলে বিল্লাল হোসেনও বোয়ালখালী মিনি সুপার মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী। এছাড়া ছোটছেলে মনির হোসেন একজন ছাত্র। হতদরিদ্রের জন্য বরাদ্দের এ কার্ডগুলো সম্পদশালীদের নামে করে দেওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

NewsDetails_03

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্য মো. হোসেন বলেন, “একই পরিবারে তিনজনের কার্ডের বিষয়ে আমি কিছু জানিনা৷ এ বিষয়ে চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞেসাবাদ করেন। এরা কেউ হতদরিদ্র নয়। এদের (বাপ-ছেলের) ছোট মেরুং ও বোয়ালখালী বাজারে কাপড়ের দোকান আছে।

মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকী বলেন, “কার্ডগুলো নতুনভাবে রিপ্লেস করা। সকলের পিতার নাম না জানায় হয়তো ভুল হয়ে গেছে। আগামীতে কার্ডগুলো সংশোধন করা হবে।”

খাগড়াছড়ি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুমাইয়া নাজনীন বলেন, “একই পরিবারের তিনজনের একসাথে সরকারি সুবিধা ভোগ করার সুযোগ নেই। বিষয়টির সত্যতা যাচাই করে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন