পাহাড় ধসে হতাহতদের পরিবারের পাশে দাড়াতে প্রশাসন ও দলীয় নেতাকর্মীদের বীর বাহাদুরের নির্দেশ

NewsDetails_01

পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি
বান্দরবানের ৭টি উপজেলায় পাহাড় ধসে ঝুঁকি থেকে স্থানীয় লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে এবং বান্দরবানের জেলা আওয়ামী লীগ ও দলটির সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের পাহাড় ধসে হতাহতদের পরিবারের পাশে দাড়ানোর জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এম,পি’র নির্দেশ দিয়েছেন। পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীর এপিএস সাদেক হোসেন চৌধুরী পাহাড়বার্তাকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চত করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার দুপুরে অতি বর্ষনের ফলে জেলা শহরের কালাঘাটা এলাকায় বসতবাড়ির উপর পাহাড় ধসে পড়লে প্রতিমা রাণী দাশ নামে এক নারী মারা যান। দমকল বাহিনীর কর্মীরা ১ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে মাটির নিচ থেকে নিহত প্রতিমা রাণীর লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। ঘটনার পর জেলা প্রশাসক মো: আসলাম হোসেন, পৌর মেয়র ইসলাম বেবীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
অন্যদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকে টানা বর্ষণ শুরু হলে দুপুরে লামা উপজেলার সড়ই ইউনিয়নে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এ সময় মঈন উদ্দিনের বসতঘরের ওপর আচমকা পাহাড় ধসে পড়ে। এতে ঘুমন্ত মো. হানিফ, তার স্ত্রী ও সন্তানসহ একই পরিবারের চারজন মারা যায়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা লাশ উদ্ধার করেন।
পাহাড় ধসে শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যুর সত্যতা সরই ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. আশ্রাফ আলী নিশ্চিত করে বলেন, নিহতদের ঘর থেকে পাহাড় প্রায় ২০০ফুট দূরে। এত দূর থেকে পাহাড়ে মাটি এসে মাটির ঘর চাপা পড়ে মৃত্যুর ঘটনা আশ্চার্য জনক।
এ বিষয়ে জেলার লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি বলেন, পাহাড় ধসে শিশুসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।
এদিকে সাংগু নদীর পানি বাড়ার কারনে বান্দরবানের পলুপাড়ায় একটি ব্রেইলি ব্রিজ পানিতে প্লাবিত হওয়ায় বান্দরবানের সাথে রাঙামাটির এবং বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কের বৈদ্যপাড়া সড়ক পথ পানিতে প্লাবিত হওয়ার কারনে বান্দরবানের সাথে চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, ফলে উভয় পাশে আটকা পড়ে যানবাহনসহ যাত্রীরা, আর এতে চরম ভোগান্তীতে পড়েছে যাত্রীরা। সড়কে চলাচলরত যাত্রীরা নৌকায় চলাচল করছে। জেলা শহরের ইসলামপুর, আর্মিপাড়া,শেরে বাংলা নগরসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার কারনে স্থানীয়রা নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাচ্ছে।
এদিকে টানা বৃষ্টিতে বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসের সম্ভাবনা দেখা দেওয়ার কারনে বান্দরবানে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ন বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং করেছে বান্দরবান পৌরসভা। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে অতি বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসে বান্দরবানে নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন