বান্দরবানে সদরে জামানত হারালেন একেএম জাহাঙ্গীর

NewsDetails_01

গতকাল (৮মে) অনুষ্ঠিত বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বহিস্কৃত বিএনপি নেতার কাছে হেরে জামানত হারালো প্রবীণ নেতা বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আনারস প্রতীকের প্রার্থী একেএম জাহাঙ্গীর।

জামানত হল নির্বাচনী নিরাপত্তাজনিত আইনে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ, যা ট্রেজারি চালান বা কোনো তফসিলি ব্যাংকের পে-অর্ডার বা পোস্টাল অর্ডারের মাধ্যমে রিটার্নিং কর্মকর্তার বরাবরে জমা দিতে হয়। অংশগ্রহণকৃত নির্বাচনে যত ভোট পড়ে তার শতকরা ১৫ শতাংশ ভোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী যদি না পান, তাহলে তার জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত হয়।

সেই হিসেবে এবার ২য় বারের মতো উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে কাস্টিং ভোটের ১৫ শতাংশের কম ভোট পাওয়ায় জামানত হারালেন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম জাহাঙ্গীর। তিনি কাস্টিং ভোটে মধ্যে ৩হাজার ৩৬৬ পেয়েছেন। সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাস্টিং ভোটের সংখ্যা ছিল ২৩হাজার ৫৮১ভোট। যার বৈধ ভোট ২২হাজার ৫১০। বাতিল ভোটের সংখ্যা ছিল এক হাজার ৭১। ৪৫টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোট গ্রহণ। যা নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নজরদারীর মধ্যে কোন আপত্তিকর ঘটনা ছাড়া শেষ হয় সদর উপজেলা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। জেলা সদরের এ উপজেলায় মোট ভোটারের ৭১হাজার ৪৪৪জন।

NewsDetails_03

নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের নিরাপত্তার অজুহাতে সাংবাদিক সম্মেলন করে ২৭ এপ্রিল নির্বাচনী প্রচারণা থেকে সরে দাঁড়ান এই বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা।

নির্বাচনে প্রথম বার অংশগ্রহণ করে জামানত হারান জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মামুনুর রশিদ। তালা প্রতীকে তাঁর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা এক হাজার ৮৪৩। বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন চেয়ারম্যান পদে আবদুল কুদ্দুস। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফারুক আহম্মেদ ফাহিম ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মে হাই নু মার্মা। মোটরসাইকেল প্রতীকে আবদুল কুদ্দুসের প্রাপ্ত ভোট ১৯হাজার ১৪৪। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি একেএম জাহাঙ্গীরের আনারস প্রতীকে প্রাপ্ত ভোট ৩হাজার ৩৬৬। জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহম্মেদ ফাহিম উড়োজাহাজ প্রতীকে প্রাপ্ত ভোট ১৩হাজার ৩২১ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক পাজ্ঞাসার বড়ুয়া পাপনের প্রাপ্ত ভোট ৭হাজার ৭৫১ভোট।

জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয় সম্পাদিকা সানজিদা আক্তারকে হারিয়ে সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মেহাইনু মার্মা। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১৭হাজার ৯০ভোট। সানজিদার প্রাপ্ত ভোট ৫হাজার ৮০৬। অপরদিকে আলীকদম উপজেলায় অনুষ্ঠেয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দোয়াত কলম প্রতীকে জামাল উদ্দীন ৯হাজার ৪৭০ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কালাম আনারস প্রতীকে প্রাপ্ত ভোট ৭হাজার ৪১৫।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোহাম্মদ লিটন ৯হাজার ০৬৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম কফিল উদ্দীনের প্রাপ্ত ভোটের ৭হাজার ৩১৭। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮হাজার ৫৮৪ ভোটে নির্বাচিত হন শিরিন আক্তার। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইয়াছমিন আক্তারের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৭হাজার ৪৭২ ভোট।

আরও পড়ুন