মাটিরাঙ্গায় গরমে তরমুজের চাহিদা বাড়লেও বেড়েছে দ্বিগুণ দাম

NewsDetails_01

গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহে তরমুজের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মাটিরাঙ্গায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। খরতাপে তরমুজের পাশাপাশি চাহিদা বাড়ছে ডাব, বেল, ভাঙ্গি, আনারসের। তবে দ্বিগুণ দাম বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদেরকে।

বর্তমানে মাটিরাঙ্গা বাজারে বড় সাইজের ৩০০ টাকার তরমুজ ৫শত থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ সপ্তাহখানেক আগেও তরমুজের দাম ছিল স্বাভাবিক পর্যায়ে।

মাটিরাঙ্গা বাজারে দেখা যায়, ছোট, মাঝারি ও বড় সাইজের তরমুজ আগের তুলনায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। বিক্রেতাদের দাবি, সরবরাহ কম এবং দাম বেশি দিয়ে কিনতে হয়। ছোট সাইজের ১০০ তরমুজ ৯ হাজার টাকার পরিবর্তে ১৮ হাজার টাকা, মাঝারি সাইজের তরমুজ ১৮ হাজারের পরিবর্তে ২৬ হাজার টাকা ও বড় তরমুজ ২২ হাজার টাকার পরিবর্তে ৩৮ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। এ কারণে তারা বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।

এদিকে খুচরা একটি ছোট সাইজের তরমুজ ২০০-২৫০ টাকা, মাঝারি ৩০০-৩৫০ টাকা এবং বড় তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৫৫০ টাকা দরে। এ দামে তরমুজ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা।

NewsDetails_03

এদিকে গরমের তোপে তরমুজের পাশাপাশি ডাব, আনারস, বেল, ভাঙ্গির চাহিদা ও বেশ বাড়ছে। একজোড়া ডাব ২শত টাকা থেকে ২শত ২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি বেল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, এই গরমে আরেক জনপ্রিয় ফল আনারাস আকার ভেদে প্রতিজোড়া বিক্রি হচ্ছে ১শত ৫০ টাকা। তাছাড়া নতুন বাজারে আসছে ভাঙ্গি এ ফলটি মিষ্টি কম থাকায় এর জনপ্রিয়তা বেশ, তবে গরমের কারণে ফলটির দাম ও বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। প্রতিটি ভাঙ্গি ১শত ৫০ টাকা থেকে ১শত ৭০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

তরমুজ ব্যবসায়ী শামছুল আলম জানান, আমরা সুবর্ণচর থেকে তরমুজ ক্রয় করে থাকি প্রতিটি তরমুজ আগের চেয়ে বেশি দামে কিনতে হয় তাছাড়া পরিবহন ও শ্রমিকের খরছ বেশি দিতে হয় বিধায় আগের চেয়ে একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।

ভাঙ্গি ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন বলেন, আমি মৌসুমে সকল প্রকারের ফল ব্যবসা করে থাকি তবে এবার অতি গরমের কারণে আগের চেয়ে ভাঙ্গির দাম বেশি। তাই বেশি দামে বেচতে হয়। আমি গরিম মানুষ লস দিয়া বিক্রি কইরা খামু কী।

আরেক ব্যবসায়ী বলেন, তরমুজের দাম শুরুতেই তুলনামূলক স্বাভাবিক ছিল। এখন তা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এ কারণে ক্রেতাও কম। দৈনিক ২০০ তরমুজ বিক্রি করতে কষ্ট হয়। সামনে ঈদ। তাই টেনশনে আছি।

ক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড গরম পড়ছে। ইফতারে তরমুজ না হলে প্রশান্তি পাই না। বাড়ির সদস্যদের জন্য মৌসুমি ফল বেশি দাম হলেও কিনতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন