রাঙামাটিতে তরমুজের বাম্পার ফলন

NewsDetails_01

আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় রাঙামাটি জেলায় এবার তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। রমজান, বাংলা বর্ষবরণ ও বিদায়কে ঘিরে ব্যাপক চাহিদা থাকায় পাইকারী ও খুচরো পর্যায়ে ভালো দামে বিক্রি হওয়ায় খুশি চাষিরা।

জেলার সদর উপজেলা, বরকল, জুরাছড়ি, লংগদু, বিলাইছড়ি, নানিয়াচর, বাঘাইছড়ি, কাপ্তাই, ও কাউখালি উপজেলার ২ শত হেক্টর জমিতে এবার তরমুজের আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৭ হাজার মেট্টিক টন। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা।

কৃষকরা জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কয়েক বছরের তুলনায় এবার তরমুজের ফলন ভাল হয়েছে। এছাড়াও জেলার বরকল, লংগদু, জুরাছড়ি, নানিয়ারচর, রাঙামাটি সদরের কাপ্তাই তীরবর্তী জলেভাসা জমিতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার ফলন ভালো হয়েছে, বিক্রিও ভালো।

NewsDetails_03

লংগদু উপজেলার মোঃ বেলাল জানান, লংগদু উপজেলার তরমুজের ভালো কদর আছে, সুস্বাদু হয়। এই বছর ভালো ফলনের কারণে তরমুজের দাম ভালো পাচ্ছি। আবহওয়া অনুকুলে থাকায় তরমুজ খুব দ্রুত বড় হয়েছে। দুই থেকে আড়াইকেজি ওজনের প্রতিটি তরমুজ দেড়শত থেকে দুইশত টাকায় বিক্রয় করছি।

পাইকারি ব্যবসায়ী জামসেদ মিয়া জানান, আমি দেশের বিভিন্ন আড়তে তরমুজের ব্যবসা করি। মৌসুমের আগাম ফলন হওয়ায় এখন বেশ ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে সেখানে।

রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আপ্রু মারমা জানান, এ বছর তরমুজের ভালো ফলন হয়েছে। মূলতঃ এপ্রিল মাস থেকে বাজারে আসতে শুরু করে তরমুজ ফল। তবে ফলন ভালো হওয়ায় এবছর বাজারে আগাম তরমুজের দেখা মিলেছে। চলতি বছর জেলায় দুইশত হেক্টর জমিতে তরমুজের ফলন হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭হাজার ২শত মেট্রিক টন।

আরও পড়ুন