৯টি এলজিসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

NewsDetails_01

বান্দরবানের রুমা উপজেলা সীমান্তে অভিযান চালিয়ে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আরও ৮ সদস্যকে অস্ত্রসহ আটক করেছে সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার বান্দরবান রিজিয়নের ১৬ ইস্ট বেঙ্গলের ধুপানিছড়া পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সুংসাং পাড়া আর্মি ক্যাম্পের মেজর রাজীব।

আইএসপিআর সূত্রে জানা যায়, কেএনএফ এর সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অবস্থানের গোপন খবর পেয়ে রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলা ফারুয়া ইউনিয়নের ধুপপানি এলাকাটি ঘেরাও করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। পরে আটজনকে আটক করা হয়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাদের নাম জানা সম্ভব হয়নি। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৯টি এলজি, ১৯টি এলজি কার্টিজ, ২টি মোবাইল ফোন ও ২টি আইডি কার্ড উদ্ধার হয়।

অন্যদিকে, সেনাবাহিনী, র‍্যাব, পুলিশ, বিজিবি, এপিবিএন ও আনসার বাহিনীর সমন্বয়ে বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় সন্ত্রাসবিরোধী যৌথ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

NewsDetails_03

তবে এই বিষয়ে বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী বলেন, আমরা এখনও কোন আসামী বুঝে পায়নি, আমাদের অভিযান এখনও চলমান আছে।

গত ২ এপ্রিল রাতে জেলার রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে শতাধিক সশস্ত্র কেএনএফ সদস্য হামলা করে পুলিশ, আনসার সদস্যদের ১৪টি অস্ত্র লুট ও সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে। এ ঘটনার সতেরো ঘন্টার মধ্যে ৩ এপ্রিল থানচিতে গুলিবর্ষণ এবং কৃষি ও সোনালী ব্যাংক থেকে ১৫ লাখ টাকা লুট ও ৪ এপ্রিল ফের থানচির সোনালী ব্যাংক ও বাজারে আক্রমন করলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সেনা প্রধান সফর করে এবং কেএনএফ দমনে পাহাড়ে যৌথ অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত, এ ঘটনায় জেলার রুমা ও থানচি থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ ও ২০০৯ সালের সন্ত্রাস বিরোধী আইনের বিভিন্ন ধারায় ৯টি মামলা দায়ের করা হয়। অভিযানে যৌথবাহিনী বাহিনী এ পর্যন্ত ২০ জন নারীর সহ ৭১ জনকে আটক করলে ৬৩ জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করে।

আরও পড়ুন