স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রবল বর্ষনের কারনে সাঙ্গু নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় থানচির রেমাক্রি, তিন্দু,বড় মদক ও ছোট মদকে নৌ চলাচল বন্ধ আছে। পাহাড়ি রাস্তায় চলাচল বিপদজনক হওয়ার কারনে থানচির পর্যটন রুট জিন্নাহ পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা অন্তত ৩০ পর্যটকরা আটকা পরে।
আরো জানা গেছে, থানচির দূর্গম পর্যটন কেন্দ্র থেকে গত সোমবার সন্ধ্যায় পায়ে হেঁটে ৪ জন ফিরে আসলেও সাতভাই খুম থেকে ১৬ জনের দলটি পায়ে হেটে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থানচি সদরে পৌছে। তারা গত বুধবার থানচির জিন্নাহ পাড়া, আমিয়া খুম সাতভাই খুম পর্যটনে ঘুরতে যান।
পর্যটকদের দলনেতা ওমর ফারুক বলেন, ভারী বর্ষনে অনেক কষ্ট হলে ও নিরাপদে থানচি সদরে পৌছতে পারলাম আমরা। তিনি আরো বলেন, দূর্যোগের মধ্যে আমরা ফিরতে পারার কারনে থানচির প্রশাসন, বিজিবি পুলিশসহ সকল গাইডদেরকে ধন্যবাদ জানায়।
জেলার থানচি উপজেলার রেমাক্রি, তিন্দু,বড় মদক ও ছোট মদক, জিন্নাহ পাড়া, আমিয়া খুম, নাফাখুম, সাতভাই খুম পর্যটন কেন্দ্রগুলো মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় না থাকার কারনে কোন ধরণের যোগাযোগ করতে না পেরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে প্রশাসনসহ তাদের স্বজনরা।
এই ব্যাপারে থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জোবাইরুল হক বলেন, আটকা পড়া ১৬ পর্যটক অক্ষত অবস্থায় পৌছে, তাদের জীপ ভাড়া করে বান্দরবান সদরে প্রেরন করা হয়েছে
প্রসঙ্গত, বান্দরবানের থানচি ও রুমার সাঙ্গু নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে নৌ পথে যাতায়ত ঝুঁকিপূর্ন হওয়ার কারনে গত শুক্রবার থেকে উপজেলাগুলোর পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটক যাতায়ত বন্ধ রাখে উপজেলা প্রশাসন।