বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় ৪ নং কুরুকপাতা ইউনিয়নে পৌয়ামুহুরী সীমান্তে গরু আনতে গিয়ে চলতি মাসের ৩ জুন অপহরণের শিকার হয় মো. দুলাল মিয়া (৪০) নামে এক বাংলাদেশি। পরে আজ ১১ জুন বিকেল তিনটায় বিজিবির একটি টহল দল স্থানীয় সোর্সের মাধ্যমে জানতে পারে, দুলাল মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ম্যানশনপাড়া নামক স্থানে আটক রয়েছেন। এ তথ্যের ভিত্তিতে পোয়ামুহুরী বিওপির (বর্ডার আউটপোস্ট) কমান্ডার নায়েক সুবেদার হারুণ অর রশিদের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহল দল সীমান্ত সড়কের ৭৮.৫ কিলোমিটার পয়েন্ট সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করেছেন বলে বিজিবির একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যায়।
মোঃ দুলালের বাড়ি আলীকদম উপজেলার ৩ নং নয়াপাড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাগান পাড়া এলাকার বাসিন্দা, মৃত এজাহার হোসেনের ছেলে। মো. দুলাল মিয়াকে গরু কেনা-বেচার প্রলোভন দেখিয়ে ৫-৬ জন মিয়ানমারের নাগরিক অপহরণ করে। তারা তাকে সীমান্তের ৫৪-৫৫ নম্বর পিলারের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে মিয়ানমারের ভেতরে নিয়ে যায়।

উদ্ধারকালে অপহরণকারীরা দুলাল মিয়াকে অপহরণের কারণ হিসেবে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে। তারা জানায়, বিগত কিছুদিন আগে স্থানীয় জনৈক আবুল কাশেম, রুহুল আমিন, জিয়াউল ও প্রদীপ নামক ব্যক্তিরা তাদেরকে চেতনানাশক পানীয় দিয়ে বেহুশ করে তাদের কাছে থাকা ২৫ লক্ষ টাকার ইয়াবা ছিনতাই করে নিয়ে আসে। এই ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবেই দুলালকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে অপহরণকারীরা দাবি করেছে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, এই অভিযানে কোনো ধরনের মুক্তিপণ প্রদান ছাড়াই দুলালকে উদ্ধার করা হয় এবং বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়। পরে নয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. কফিল উদ্দিনের মাধ্যমে দুলালকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।