রাঙামাটি জেলার অন্য সব উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষকরা বেতন বোনাস পেলেও এবারের ঈদের বোনাস কপালে জুটছে না নানিয়ারচর উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত মুসলিম শিক্ষকরা। তবে বরাদ্দের ঘাটতির কারণে দেয়া হয়নি বলে দাবি সংশ্লিষ্ট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক উপজেলা শিক্ষা অফিসের নানা হয়রানীর কথা তুলে অভিযোগ করে বলেন, চলতি মাসের শুরুতে জেলার অন্যান্য সব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ঈদ বোনাসসহ বেতন তুললেও, ঈদ বোনাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নানিয়ারচর উপজেলার প্রায় ৩২ জন মুসলিম শিক্ষক।
তারা বলেন, ঈদ বোনাস দেয়া হয় ঈদ পালন করার জন্য। এখন পরিবার পরিজনকে ঈদে নতুন জামা কাপড় কিভাবে কিনে দেব? এর দায় কে নিবে? যে পরিমান বেতন পাই, তা দিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হয়ে যায়। যদি জেলার অন্য উপজেলার শিক্ষকরা বোনাস না পেলে মনে কোন দুঃখ থাকতো না। শুধুমাত্র আমরা পাচ্ছি না ভেবে কষ্ট হচ্ছে।
শিক্ষকদের অভিযোগ, শিক্ষা অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর দায়সারা কর্মকান্ডের কারনে এবার এমন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষকদের। ওই কর্মচারী ঠিকমত অফিস করেন না বলে ও অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল হক জানান, মন্ত্রনালয় থেকে বরাদ্দ কম আসায় দেয়া হয়নি, তবে নতুন করে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে তা সমাধান হতেও পারে। তবে কবে নাগাদ ঈদ বোনাস পাবেন, তার সঠিক সময় বলতে পারেন নি। সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, উনি ঠিক সময়ে ফাইল প্রসেস করে পাঠিয়েছেন, বরাদ্দ কম আসায় এমন হয়েছে।