খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার রাঙ্গাপানি ছড়া এলাকায় কার্যাদেশের আগেই নিম্মমানের ইট বিছিয়ে রাস্তা নির্মাণের কাজ চালাচ্ছেন ইউপি চেয়ারম্যান জ্ঞান রঞ্জন ত্রিপুরা। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে গোলাবাড়ি ইউনিয়নের উর্পযুক্ত এলাকায় ২০ লক্ষ টাকায় আধা কিলোমিটার ব্রিক সলিংয়ের এই প্রকল্পটি’র বৈধ ঠিকাদার মেসার্স বিতাড়ন চাকমা’র সাথে সমঝোতার ভিত্তিতে ইউপি চেয়ারম্যান জ্ঞান রঞ্জন ত্রিপুরা এরিমধ্যে কাজটি শেষ করে ফেলেছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গত ১৭ মার্চ সকালে গিয়ে দেখা গেছে, সিডিউল লংঘন করে তিনি ৯ ফুট ১০ ইঞ্চি চওড়ার ক্ষেত্রে ৯ ফুট চওড়া দিয়েই দৈর্ঘ্যে ১’শ ফুটের বেশি কাজ সেরেছেন। তিনি সলিংয়ের নিচের অংশে একেবারে নিম্মমানের ইট এবং ওপরে লোক দেখানোর জন্য কোথাও ১নং আবার কোথাও ২নং ইট দিয়ে রাস্তাটি নির্মাণ অব্যাহত রেখেছেন। শূধু তাই নয়, ইট বিছানোর আগে মাটি খোঁড়ার কাজ না করে বালির প্রলেপের ওপরেই ইট বিছিয়ে দিচ্ছেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে গোলাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জ্ঞান রঞ্জন ত্রিপুরা’র টেলিফোনে বেশ কয়েকবার কল দেয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ খাগড়াছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান আম্যে মারমা তাঁর পক্ষ হয়ে সাংবাদিকদের কাছে সংবাদটি পরিবেশন না করার অনুরোধ জানান।
কাজটির বৈধ ঠিকাদার মেসার্স বিতাড়ন চাকমা জানান,কাজটির জন্য তিনি ১০ শতাংশ পরিমাণ অর্থ নিরাপত্তা জামানত (ফেরতযোগ্য)হিসেবে সরকারি কোষাগারে জমা করেছেন। ঢাকা থেকে কার্যাদেশ অনুমোদনের জন্য আরো ২ শতাংশ টাকা পিআইওকে দিয়েছি। এখনো কার্যাদেশ আসেনি। কিন্তু কার্যাদেশ আসার আগেই ইউপি চেয়ারম্যান তাঁর প্রতিষ্ঠানের কাজ কেনো নি¤œমানের ইট দিয়ে কাজ চালাচ্ছেন, তা তিনি খতিয়ে দেখবেন।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কাজী মাসুদুর রহমান কার্যাদেশ প্রদান না করার কথা স্বীকার করে বলেন, কাজ এগিয়ে নেয়ার স্বার্থে তিনি প্রকল্প এলাকায় গিয়ে শ্রমিকদের কাজ বুঝিয়ে দিয়েছেন। এরপর পরই তিনি নানা ভণিতা শুরু করেন এবং নিউজ না করে ইউপি চেয়ারম্যান জ্ঞান রঞ্জন ত্রিপুরা’র সাথে সমন্বয়ের পরামর্শ দিতে থাকেন।
এই সময় তিনি নিজে এই প্রতিবেদকের সামনে এবং তাঁর একজন পিয়ন বাইরে গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জ্ঞান রঞ্জন ত্রিপুরাকে ফোন দিয়ে নিউজ ঠেকানোর পরামর্শ দিতে থাকেন।