পাহাড়ের নীরবতা ভাঙছে

purabi burmese market

সবুজ অরণ্যে ঘেরা জেলা বান্দরবান। করোনার কারণে প্রায় দেড় বছর বন্ধ ছিল জেলার পর্যটন কেন্দ্র। তবে ১৯ আগস্ট থেকে সীমিত পরিসরে সকল পর্যটন স্পট, হোটেল-মোটেল খুলে দেওয়া হচ্ছে।
আগামী সোমবার অথবা মঙ্গলবার এ–সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, জেলায় করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি আগের চেয়ে কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। তাছাড়া গত বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আগামী ১৯ আগস্ট থেকে আসন সংখ্যার ৫০ শতাংশ ব্যবহার করে খুলতে পারবে হোটেল-মোটেল-রেস্তোরাঁ। এ ছাড়া পর্যটন কেন্দ্র, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র চালু করারও অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

জেলার পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রা জানান, পর্যটন মৌসুমে জেলা শহর ও উপজেলার প্রায় ৬০টি আবাসিক হোটেল-মোটেলে দৈনিক পাঁচ হাজারের বেশি পর্যটক আসেন। পর্যটকদের সেবায় প্রায় ১ হাজার ২৫০ জন কর্মী, ৩৫০ জন ট্যুরিস্ট গাইড, পাঁচ শতাধিক গাড়ি চালক ও চালকের সহকারী এবং খাবারের দোকানের কর্মচারীদের কর্মসংস্থান হয়ে থাকে। তারা এখন সবাই বেকার সময় পার করছেন।

আবাসিক হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জানান, জেলায় কর্মসংস্থান ও আয়ের বড় খাত হচ্ছে পর্যটন। পর্যটনের আর্থিক শৃঙ্খলায় একজন পর্যটকের পেছনে সরাসরি ১১ শ্রেণির পেশাজীবী মানুষ লাভবান হন। সে হিসাবে বান্দরবানে প্রতিদিন গড়ে ৫ হাজার পর্যটকের সঙ্গে ৫৫ হাজার মানুষের আয় রোজগারের বিষয় রয়েছে। পর্যটন খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে আমরা খুশি।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লুৎফুর রহমান বলেন, যেহেতু করোনা ভাইরাস পুরোপুরি যাচ্ছে না, তাই ভাইরাসটির সঙ্গে অভিযোজন করে বাঁচতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে কড়া নজরদারি থাকবে। মাস্ক ছাড়া কাউকে পর্যটন কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে হবে।

dhaka tribune ad2
আরও পড়ুন
1 মন্তব্য
  1. Suman বলেছেন

    অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লুৎফুর রহমান বলেন, …….. মাস্ক ছাড়া কাউকে পর্যটন কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না।…… খুবই হাস্যকর একটি বাক্য!!

    ফাইল ছবিটি দেখুন! দায়িত্ববান কর্মকর্তার দায়িত্ব!

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।