আজ রোববার সকালে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বান্দরবান আসনে বীর বাহাদুর উশৈসিং ও খাগড়াছড়ি আসনে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষনা করা হলেও রাঙামাটি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষনা না করার কারনে পার্বত্য জেলা জুঁড়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে কৌতুহলের পাশাপাশি অস্বস্থি বিরাজ করে। পরে রবিবার সন্ধ্যায় দীপংকর তালুকদারের পক্ষে তার ব্যক্তিগত সহকারি অমিত চাকমা ধানমন্ডির আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কাছ থেকে দলীয় মনোনয়নের চিঠি সংগ্রহ করে প্রকাশ করলে রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উচ্ছাস প্রকাশ করে।
এই ব্যাপারে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমা জানান, আমাদের পরিশ্রম স্বার্থক হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দাবি পূরণ করেছেন। আসন্ন ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদীয় নির্বাচনে ২৯৯নং আসনে নৌকা প্রতীকে দীপংকর তালুকদারকে বিজয়ী করে এ আসনটা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিবো।
দীপঙ্কর তালুকদার ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯১ সালে রাঙ্গামাটি আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও জয় পান রাঙ্গামাটির ‘দাদা’ খ্যাত দীপঙ্কর তালুকদার। ১৯৯৮ সালে প্রতিমন্ত্রীর পদ মর্যাদায় ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন এবং অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুু নির্দিষ্টকরণ ও পুনর্বাসন সম্পর্কিত টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। ২০০৯ সালে তিনি পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হন। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অর্ধলক্ষ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হলেও পাঁচ বছর পরে ভোটের হিসেবে পাল্টে দীপঙ্কর তালুকদার ধরাশায়ী হন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির উষাতন তালুকদারের কাছে।
প্রসঙ্গত, গত ৮ নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ওই তফসিল অনুযায়ী,২৩ ডিসেম্বর ভোটের দিন নির্ধারিত হয়। পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আবেদনের ভিত্তিতে ২৩ ডিসেম্বরের পরিবর্তে এক সপ্তাহ পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। পুনঃতফসিল অনুযায়ী প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখ ২৮ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ২ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৯ ডিসেম্বর এবং ভোট গ্রহণ ৩০ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।