লংগদু-নানিয়ারচর সংযোগ সড়কের দাবিতে লংগদুতে মানববন্ধন
রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় লংগদু-নানিয়ারচর সংযোগ সড়ক দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) অনুষ্ঠিত হয়েছে হাজারো মানুষের এক বিশাল মানববন্ধন। দীর্ঘ ৫৪ বছরের প্রত্যাশিত এ সড়কটি নির্মাণে কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের বাধার অভিযোগ তুলে সাধারণ জনগণ এই কর্মসূচির আয়োজন করেন।
মানববন্ধনে লংগদু, নানিয়ারচর ও বাঘাইছড়ি উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সংগঠনগুলো অংশগ্রহণ করেন। দলমত নির্বিশেষে সবাই দাবি তোলেন—“দ্রুত সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ২৪ কিলোমিটার সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ শুরু ও শেষ করতে হবে।”
বক্তব্যে লংগদু উপজেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন বলেন, পাহাড়ি জনপদে উন্নয়নের সবচেয়ে বড় বাধা হলো সড়ক যোগাযোগ। এই সড়কটি চালু হলে শুধু লংগদু নয়, নানিয়ারচর, বাঘাইছড়ি এবং পুরো রাঙামাটি জেলা উপকৃত হবে। কিন্তু কিছু অসাধু গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থে এই উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে চায়—তাদের প্রতিহত করতে হবে।”
উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর নাছির উদ্দীন বলেন, এই ২৪ কিলোমিটার সড়ক কেবল একটি রাস্তাই নয়—এটি আমাদের উন্নয়নের চালিকাশক্তি। সেনাবাহিনীকে দিয়ে দ্রুত এর কাজ শুরু করলে সাধারণ মানুষ সরাসরি উপকৃত হবে।

লংগদু প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএস মামুন বলেন, এই আন্দোলন কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়। এটি সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার এক শক্তিশালী অভিব্যক্তি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ জানান, এই সড়কটি নির্মিত হলে পণ্য পরিবহন সহজ হবে, ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আসবে এবং পর্যটনের প্রসার ঘটবে।
এক স্থানীয় শিক্ষার্থী বলেন, প্রতিদিন সড়কের অভাবে যাতায়াতে অনেক সময় নষ্ট হয়। আমাদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ এর সঙ্গে জড়িত। তাই দেরি নয়—এখনই চাই সড়ক।”
উল্লেখ্য, রাঙামাটি জেলা সদরের সাথে লংগদু-নানিয়ারচর হয়ে বাঘাইছড়ির সাজেক পর্যন্ত সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন দীর্ঘদিনের দাবি। মাত্র ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সংযোগ সড়ক নির্মিত হলে তিনটি উপজেলার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, ব্যবসা ও পর্যটনে বিপুল উপকার পাবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।