এসময় প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রকৃতি দূর্যোগে হয়তো মানুষের হাত থাকে না। কিন্তু আগুন আপনা আপনি জ্বলে না। আগুন হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, পাহাড়ী বাঙ্গালী কাউকে মানে না। সামনে যা পাই সেটা পুড়ে খাই। এগুলো আমাদের কোন না কোন ভুলের কারণে হয়েছে। একজনের অসচেতনতার কারনে হাজার মানুষের বিপদ নেমে আসে, তাই সকলকে সচেতনতার মাধ্যমে বসবাস করতে হবে।
বান্দরবান শহরের মধ্যমপাড়ার মারমা বাজার এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে ত্রাণ সামগ্রী ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ক্ষতিগ্রস্থ ৭৫ পরিবারকে এই ত্রাণ সামগ্রী ও নগদ অর্থ প্রদান করেন।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ প্রতি পরিবারকে নগদ ১০ হাজার টাকা, পাবর্ত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশের পক্ষ থেকে ১ হাজার টাকা, রোটারি ক্লাব অব বান্দরবান এর পক্ষ থেকে ৫ শত টাকা ও বান্দরবান লোকাল ট্রাক ও মিনি ট্রাক মালিক সমবায় মালিক সমিতির পক্ষ থেকে চাউল ১০ কেজি চাউল, একটি জগ, ১ টি বালতি, ১টি গামলাসহ বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এসময় ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ক্য সা প্রু, পার্বত্য জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহীদুল আলম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার, সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ নোমান হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ, পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশ, সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর, সদস্য কাঞ্চনজয় তঞ্চঙ্গ্যা, সদস্য ফিলিপ ত্রিপুরা, সদস্য তিং তিং ম্যা, পার্বত্য জেলা পরিষদের হিসাব রক্ষক উসাজাই, জনসংযোগ কর্মকর্তা জুড়িমং মার্মা, বান্দরবান লোকাল ট্রাক ও মিনি ট্রাক মালিক সমবায় মালিক সমিতির সভাপতি অমল কান্তি দাশ, পূর্বাণী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুব্রত দাশ ঝন্টু, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি মুছা কোম্পানী, সহ সভাপতি রফিকুল ইসলামসহ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা।
প্রসঙ্গত গত ১১ আগস্ট শনিবার দুপুরে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে বান্দরবান সদরের মারমা বাজার এলাকায় ৭৫টি বসত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায় এবং এরপর থেকেই বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্টানের পক্ষ থেকে ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।