খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইন-চার্জ(ওসি) সাহাদাত হোসেন টিটো বলেন, নির্যাতিতা গৃহবধূর আকুতিতে স্বামীকে ছেড়ে দিতে পুলিশ হয়েছে। ছেড়ে দেয়ার আগে স্ত্রী রোকেয়াকে আর নির্যাতন করা হবে না এবং নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিবে এমন শর্তে মাসুদ ও তার বাবা মো: ফয়েজ থেকে অঙ্গীকার নেয়া হয়েছে। পরে স্ত্রীর জিম্মায় তাকে থানা থেকে যেতে দেয়া হয়। এসময় সংশ্লিষ্ট পৌর কাউন্সিলর মো: মাসুদসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, সংসারের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকালে খাগড়াছড়ি শহরের মেহেদীবাগ এলাকার বাড়ি উঠানে ফেলে রোকেয়া আক্তারকে বেদম মারধর করেস্বামী মাসুদ। মোবাইল ফোনে ধারণ করা নির্যাতনের চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। মারধরের সময় রোকেয়া আক্তারের কোলে থাকা এক বছর বয়সী শিশুকে নিয়ে মাটিতে গড়াগড়ি ও নির্যাতনের দৃশ্য দেখে মাসুদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন সোস্যাল এক্টিভিস্টরা। কিন্তু স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ভালবাসায় শাস্তি বদলে ছেড়ে দিতে হয়েছে পুলিশকে।