আমাদের এখানে মেডিকেল কলেজ থাকলে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) নেই, এটা খুবই প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৭মার্চ) দেশের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের ১৫টি জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং জন প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স এ রাঙামাটির সাথে প্রধানমন্ত্রী যুক্ত হলে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশিদ রাঙামাটি হাসপাতালে আইসিইউ এর বিষয়টি তুলে ধরেন।
এর আগে জেলার সার্বিক বিষয় তুলে ধরে জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশিদ বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে শুরু থেকে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগ, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে আমরা জেলা উপজেলা এমনকি ইউনিয়নে কমিটি গঠন করে কাজ করে যাচ্ছি।
রাঙামাটি জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রান্ত কোন রোগী পাওয়া যায়নি। আমরা এ পর্যন্ত ১৯৭ জন মানুষকে হোম কোয়ারেন্টিনে রেখেছি, যারমধ্যে ১৫৪ জনকে স্বাস্থ্য বিভাগ ছাড়পত্র দিয়েছে। বর্তমানে ৪৩ জন হোম কোয়ারেন্টিনে আছে ।
তিনি আরো বলেন, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, সামাজিক দুরত্ব, সামাজিক সুরক্ষা, স্বাস্থ্য বিধি এবং বাজার পরিস্থিতি, বাজারে পণ্য সরবরাহ ঠিক রাখতে ও হোম কোয়ারেন্টিনে নিশ্চিত করতে মাঠ প্রশাসনে যারা আছে, তারা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
করোনা মোকাবেলায় প্রস্তুতির বিবরণ তুলে ধরে ডিসি বলেন, জেলা ও উপজেলায় ১৫০টি আইসোলেশন বেড প্রস্তুত রেখেছি । জেলা সদরে রোগীদের পরিবহণের জন্য ৪টি এ্যাম্বুলেন্স এবং নৌ পথ সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলোর জন্য ৪টি স্পীডবোঢ প্রস্তুত রেখেছি । আমার এ জেলার কর্মহীন, দিনমজুর, শ্রমিক এবং যাদের ঘরে খাদ্য প্রয়োজন তাদের প্রত্যেকের ঘরে খাদ্য পৌছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছি । আমরা এ পর্যন্ত ৩২ হাজার ৮ শত ৮০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা পৌছে দিতে সক্ষম হয়েছি।
ভিডিও কনফারেন্সে এদিন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, ডিজিএফআই’র কর্নেল মোঃ ইমরান ইবনে এ রব, পুলিশ সুপার আলমগীর কবির, সিভিল সার্জন বিপাশ খীসা, পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরীসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।