বাবরের পিতা মোহাম্মদ হোসেন আহাম্মদ গত ২০১৫ সালে ইন্তেকাল করেন। তিনি ১৯৮৪ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত খাগড়াছড়ির রামগড়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে কর্মরত ছিলেন। বাবর ২০০৮ সালে রামগড় গণিয়াতুল উলম মডেল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাশ করেন। জোরারগঞ্জ টেক্সটাইল থেকে ২০১২ সালে ডিপ্লোমা শেষ করে গ্রিণ ইউনিভার্সিটি থেকে ২০১৭ সালে বিএসসি শেষ করে ঢাকার একটি বেসরকারী টেকনিকেল কলেজে শিক্ষকতায় যোগ দান করেন। ববারের জন্ম রামগড়েই। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে বাবর সবার ছোট। বড় দুই ভাই রামগড় সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ও বোন রামগড় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। বাবরের বর্তমান বাড়ি ফেনী জেলার সোনগাজী উপজেলার ওলামা বাজার।
চিকিৎসকরা জানান, এই রোগে মানুষের শরীরের সেলগুলো ধীরে ধীরে মরে গিয়ে রোগী শয্যাসয়ী হয়ে পড়ে এবং কয়েক বছরের মধ্যে মারা যায়। এখনো এই রোগের প্রতিষেধক আবিস্কার না হলেও প্রাথমিক পর্যায়ে এক ধরনের থেরাপি রয়েছে যা করলে রোগীর মরতে বসা সেলগুলো বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব। এ থেরাপি ভারতে ও চিনি দেওয়া যাবে তবে ভারতের চেয়ে চিনে থেরাপি দিতে প্রয়োজন ১৫ লাখ টাকা। সদ্য পড়া লেখা শেষ করা পৃতিহারা বাবরের পক্ষে সম্ভব হচ্ছেনা। বাবরের চিকিৎসায় তাঁর সহপাঠী ও রামগড়ের কিছু উদ্দেমী যুবক তহবিল সংগ্রহ করছেন। বাবরের চিকিৎসার জন্য ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ হাত বাড়িয়েছেন। আপনিও এগিয়ে আসুন। সহায়তা পাঠানোর ঠিকানা: ব্যাংক একাউন্ট- ৫৪২২১০০০০৭২৩৬ (সঞ্চয়ী হিসাব) মোহাম্মদ রায়হান, সোনালী ব্যাংক, রামগড় শাখা, খাগড়াছড়ি। বিকাশ- ০১৮২৩২৫৬৩৮৪ (পার্সোনাল), রকেট- ০১৮২৩২৫৬৩৮৪৫।
বাবর জানান, গত এক বছর থেকে এ রোগের সূত্রপাত হয়। যদিও আগে থেকেই শরীরে রোগটি বাসা বেধেঁছিলো। মানসিক ভাবে সবল জানিয়ে বলেন, আমার রোগটি খুবই দুর্লব। আমাকে নিয়ে ডাক্তাররা যদি গবেষণা করে কোন উপকার পান তাহলে আমি তাদের সুযোগটা দিতে চাই।