উন্নয়ন বোর্ডের মিশ্র ফলের চারা ছাগলের পেটে !

NewsDetails_01

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এর মিশ্র ফল চাষ প্রকল্পের মসলা জাতীয় প্রায় ৫ হাজারেও বেশী মূল্যবান চারা অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থাকায় গরু-ছাগল তা খেয়ে ফেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এর মিশ্র ফল চাষ প্রকল্পের মসলা জাতীয় চারাগুলো অযত্ন অবহেলা মালিকানাহীণ পড়ে রয়েছে বান্দরবানে থানচি উপজেলা সদরে সাংগু সেতু নিচে পদ্দ ঝিড়ি রেষ্টুরেন্ট এর উত্তর পার্শ্বের। প্রায় ৫ হাজারেও বেশী মসলা জাতীয় মূল্যবান আলু বোখরা ও তেজপাতা,গোল মরিচ,আম, মালটা, আপেল কুল চারা গত ৩০ জুন হতে ২রা জুলাই সন্ধ্যা পর্যন্ত পড়ে থাকায় গরু ছাগল তা খেয়ে অবশিষ্ট কিছুই রাখেনি।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এর মিশ্র ফলের চাষ প্রকল্পের আওতায় রেমাক্রী ও তিন্দু ইউনিয়নের ১১৮জন কৃষক জুমিয়ারদের মিশ্র ফলের চাষ প্রকল্পের মসলা জাতীয় চাষ করতে আলু বোখরা, গোল মরিচ, তেজ পাতা,আম, মালটা, আপেল কুল, ৬ জাতের চারা মোট ২১ হাজার ৭শত ৯০টি এছাড়াও উপকরন হিসেবে স্প্রে মেশিন , দা, কোদাল, কিড়িজ ১টি করে মোট ১১৮টি বিনা মূল্যে পরিবহন খরচ সহ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছিল।

পদ্দ ঝিড়ির রেষ্টুরেন্টে মালিক ওসমান জানান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের চারা গত ৩০ জুন বুধবার বিকালে তিনটি ট্রাক গাড়িতে এনে আনলোড করা হয়েছিল।

তবে এই ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মজ্ঞুরুল আরফিন সবুজ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের বিভাগের কোন চারা কৃষকদের জন্য বরাদ্ধ হয়নি।

NewsDetails_03

যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গনি ওসমানী বলেন, উপজেলা প্রশাসনে কোন চারা এখনও বরাদ্ধ হয়নি। উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং মারমা বলেন, আমার এই বিষয়ে জানা নেই ।

উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান চসাথোয়াই মারমা বলেন, গত ৩০জুন বুধবার সন্ধ্যাকালীন সময় সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অলসেন ত্রিপুরা তিন ট্রাক চারা আনলোড করতে দেখা গিয়েছে ।

যোগাযোগ করা হলে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অলসেন ত্রিপুরা বলেন, ২ নং তিন্দু ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে অলসেন পাড়ায় (আমার পাড়া) ৪০ পরিবারের জুমিয়া কৃষকদের জন্য আলু বোখরা, ও তেজ পাতা, গোল মরিচ, আম, মালতা, আপেল কুল চারা,৫ হাজার স্প্রে মেসিং ৪০টি, কোদাল ৪০টি,দা ৪০টি, আমি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড মিশ্র ফল চাষ প্রকল্পের আওতায় শ্যামল বিকাশ চাকমা স্যার নিকট হতে সরাসরি গ্রহন করে নিয়ে আসছিলাম এবং থানচি তথ্য সেবা কেন্দ্রের ফুড কর্নারে পাশ্বে স্তুপ করে রাখা হয়েছে। চারা ছাড়া অন্যান্য উপকরন আমার হেফাজতে রয়েছে লকডাউন খুললে সময় সুযোগ হলে কৃষকদের হাতে তুলে দিব।

এই ব্যাপারে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড মিশ্র ফল চাষ প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প পরিচালক শ্যামল বিকাশ চাকমা বলেন, আমাদের প্রকল্পের আওতায় মসলা জাতীয় চাষের থানচি উপজেলার রেমাক্রী ও তিন্দু ইউনিয়নের মোট ১১৮ কৃষক মাঝে জন প্রতি আলু বোখরা ৬০টি,গোল মরিচ ২৫টি,তেজ পাতা ৪০টি,আম ২০টি,মালটা ২০টি, আপেল কুল ২০টি করে মোট ২১ হাজার ৭শত ৯০টি চারা, এছাড়াও প্রতি কৃষকদের স্প্রে মেশিন ১টি,দা ১টি, কোদাল ১টি,লতা কাটা কিড়িজ ১টি করে রেমাক্রী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুইশৈথুই মারমা, থানচি উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অলসেন ত্রিপুরা ও মিশ্র ফলে চাষ প্রকল্পের মাঠ কর্মকর্তা অনিক চাকমাকে গত বুধবার ৩০ জুন বান্দরবান হতে সরাসরি কৃষকদের হাতে পৌছানো পরিবহন খরচ সহ তাঁহাদের হাতে বুঝিয়ে দিয়েছি।

আরও পড়ুন