বান্দরবানে পাহাড়ে পাদদেশ থেকে সরে যেতে মাইকিং

NewsDetails_01

বান্দরবানে ঘূর্ণিঝড় মোখার ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। জেলার ৭ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছে এবং আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিত বাসিন্দাদের জন্য পর্যাপ্ত শুকনা খাবারও মজুদ রয়েছে বলে জানায় প্রশাসন। এছাড়াও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুকিতে বসবাসকারী বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।

মোখার প্রভাবে আজ রবিবার (১৪ মে) সকাল থেকে জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে আর এই বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসের আশংকা সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখা থেকে নিরাপদে অবস্থানের জন্য বান্দরবানের ৭ উপজেলায় ২০৫টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুুত রাখা হয়েছে আর জনগনকে নিরাপদে অবস্থানের আহবান জানিয়েছে প্রশাসন।

জেলা ত্রাণ ও পুণবার্সন কর্মকর্তা মো. ছাইফুল্লাহ মজুমদার জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন সজাগ রয়েছে এবং বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়ে একটি কন্টোল রুম চালু করেছে।

NewsDetails_03

তিনি আরো জানান বান্দরবান সদরে অস্থায়ী ৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে যাতে ১৯ হাজার ৮০জন, রুমা উপজেলায় ২১টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে যাতে ৫শ ১৫জন, রোয়াংছড়ি ১৯ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে যাতে ৪হাজার ৫শ জন, থানচি উপজেলায় ৬ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে যাতে ৬শ ৪০জন, লামা উপজেলায় ৫৩টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে যাতে ১হাজার ৪শ ৯০ জন, আলীকদম উপজেলায় ১৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে যাতে ৩ হাজার ১শ ৩০জন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ৪৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে যাতে ১ হাজার ৪শ ৫৭জন ধারণ ক্ষমতা রয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুণবার্সন কর্মকর্তা মো.ছাইফুল্লাহ মজুমদার আরো জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন থেকে ৭টি উপজেলায় ২৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে এবং বর্তমানে জেলায় ত্রাণ কার্য (চাল) খাতে ৪১৬.৩১ মেট্রিক টন চাল ও ত্রাণ কার্য (নগদ) খাতে ৮লক্ষ টাকা মজুদ রয়েছে।

এদিকে বান্দরবান পৌরসভার মেয়র সৌরভ দাশ জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় বান্দরবান পৌরসভা সজাগ রয়েছে এবং পাহাড়ের পাদদেশে ঝুকিতে বসবাসকারী বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন