বান্দরবান জেল থেকে মুক্তি পেলেন নেপালি নাগরিক

NewsDetails_01

আট মাস ১৩ দিন সাজা ভোগ করার পরে অবশেষে মুক্তি পেলেন নেপালি নাগরিক অম্বর থাপা বুড়া (২৪)। তিনি নেপালের জাজারকোট জেলার কর্নালি প্রদেশের গোঘি গ্রামের দর্জিত বুড়ার পুত্র।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে তাকে বান্দরবান জেলা কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেল সুপার মো. জান্নাত-উল-ফরহাদ, সিনিয়র সহকারী কমিশনার মিজানুর রহমান এবং নেপাল দূতাবাসের ২য় সেক্রেটারি মিস ইয়োজনা বামজান, রাষ্ট্রদূতের সচিব মিস রিয়া সিত্রাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা।

বান্দরবান জেল সুপার মো. জান্নাত-উল-ফরহাদ বলেন, বিদেশি যে কোনো নাগরিককে প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ সরকার ও দূতাবাসগুলো আন্তরিক। সরকার টু সরকারের দপ্তরগুলো যত দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বিদেশি বন্দি প্রত্যাবাসন দ্রুত হবে। ঠিক সময়ে নেপালি নাগরিককে ফিরিয়ে দিতে পেরে আমরাও খুশি। এতে বন্দি বিদেশি নাগরিকদের মানবিক দিকটি সমন্বত থাকে।

NewsDetails_03

এদিকে জানা যায়, গত ১০ জুলাই বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ তাকে চার মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও পনের দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। যার মেয়াদ শেষ হয় গত ১০ আগস্ট। সরকারের নির্দেশনা পাওয়ার পর নেপাল দূতাবাসের ২য় সেক্রেটারি মিস ইয়োজনা বামজান এবং রাষ্ট্রদূতের সচিব মিস রিয়া সিত্রা মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে বান্দরবান জেলা কারাগার থেকে তাকে স্বদেশ প্রত্যাবাসনের জন্য গ্রহণ করেন। তবে আদালতের রায়ের সাড়ে চার মাস সাজা ভোগ করার পরেও প্রত্যাবসনের জন্য আরও ৩ মাস ৯ দিন জেলা কারাগারে থাকতে হয় অম্বর থাপা বুড়াকে।

আরো জানা যায়, গত ২৫ মার্চ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর ইউপির চেরারঘাট এলাকায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের কারণে তাকে আটক করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশ। পরে ২৮ মার্চ নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় নেপালি নাগরিক অম্বর থাপা বুড়ার বিরুদ্ধে ১৯৪৬ সালের বিদেশি নাগরিক সম্পর্কিত আইনে এজাহার দাখিল করা হয়।

এদিকে নিজ দেশের নাগরিককে গ্রহণ করতে এসে বাংলাদেশ সরকার এবং বান্দরবান জেল কর্তৃপক্ষের প্রতি ধন্যবাদ জানান নেপাল দূতাবাসের ২য় সেক্রেটারি মিস ইয়োজনা বামজান।

আরও পড়ুন