বান্দরবান শহরে ইউপিডিএফ সংস্কারের সশস্ত্র কার্যক্রমে ক্ষুদ্ধ স্থানীয়রা

থানায় মামলা

NewsDetails_01

বান্দরবান শহরে পাহাড়ের অন্য সশস্ত্র সংগঠনের কার্যক্রম না থাকলেও এবার প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন, চাঁদাবাজি ও স্থানীয়দের উপর একের পর এক হামলার ঘটনায় ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ সংস্কার) এর কার্যক্রম নিয়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠছে স্থানীয়রা, প্রতিদিন শহরে সংঘাতের ঘটনা বাড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে বিরাজ করছে চরম আতঙ্ক।

অভিযোগে জানা যায়, গত ১৪ এপ্রিল রাতে জেলা শহরে ধর্মীয় উৎসব সাংগ্রাই উদযাপন হয়। এসময় পিঠা উৎসবে রাত তিনটার দিকে ইউপিডিএফ সংস্কার এর নেতা জয় বাবু তংচঙ্গ্যা, পুলু মং মার্মাসহ অজ্ঞাত ব্যাক্তিরা মাতাল অবস্থায় উজানী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তার উপর দলবদ্ধ হয়ে উৎসবে আসা লোকজনের উপর উশৃংখল আচরন করে। এই ব্যাপারে তাদের নিষেধ করলেও তারা উৎসবে আসা স্থানীয়দের অকথ্য ভাষায় গালিগালাচ করে। এর প্রতিবাদ করলে পাশের সমিল থেকে গাছ এনে কয়েকজনের উপর হামলা করে। পরে স্থানীয় থুইমে চিং মার্মাসহ কয়েক নারীর জামা কাপড় ছিড়ে শ্লীলতাহানী করে, এসময় স্থানীয়রা চিৎকার করলে তারা উৎসব আয়োজকদের প্রাননাশের হুমকি দেয়। এসময় চিংশৈ মার্মা, সুজন মার্মা, উটিং নু মার্মা আহত হলে রাতেই আতংকে উৎসব বন্ধ হয়ে যায়।

আরো জানা গেছে, এই ঘটনায় মঙ্গলবার ইউপিডিএফ সংস্কারের নেতা জয় বাবু তংচঙ্গ্যা, পুলু মং মার্মাসহ অজ্ঞাত ১০জনকে আসামী করে ম্য খ্যাইং প্রু মার্মা নামে এক ভুক্তভোগী নারী বান্দরবান সদর থানায় মামলা (নং-১২) দায়ের করে।

এই ব্যাপারে মামলার বাদী ম্য খ্যাইং প্রু মার্মা বলেন, জেলা শহরের পাড়াগুলোতে যেভাবে সন্ত্রাসীরা অবস্থান নিয়ে আমাদের উপর হামলা করছে, উৎসব পালনে বাধা দিচ্ছে, তাতে শহরে বসবাস করতে পারবো কিনা আমরা শঙ্কিত।

NewsDetails_03

অন্যদিকে এসব ঘটনার প্রতিকার চেয়ে জেলা শহরের উজানী ও মধ্যমপাড়ায় বসবাসরত ১৬৬ জন স্থানীয় আদিবাসী স্বাক্ষরিত একটি স্বারকলিপি বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসক, ব্রিগেড কমান্ডার ( ৬৯ ব্রিগেড) ও পুলিশ সুপারের কাছে প্রদান করেছে।

এই ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম শহীদুল ইসলাম বলেন, উৎসবে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে, অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো জানা গেছে, গত মাসে গাড়ি পার্কিংকে কেন্দ্র করে জেলা শহরের রাজারমাঠ এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, কেন্দ্রিয় মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক লক্ষী পদ দাশ এর বাসভবনে হামলা চালায় এবং তার পরিবারের সদস্যদের প্রাননাশের হুমকি প্রদান করে বলে অভিযোগ রয়েছে সংগঠনটির বিরুদ্ধে।

এই ব্যাপারে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা বলেন, এখানে পাড়ার ভেতর আসছে সন্ত্রাসীরা। পাড়ায় কেউ ঘুম যেতে পারছেনা হুমকি দিচ্ছে, সামাজিক অনুষ্ঠান করতে পারছেনা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান করতে পারছেনা, কেন এসব হচ্ছে বান্দরবানে। এদের প্রতিরোধ করতে যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।

আরও পড়ুন