মাটিরাঙ্গায় ৭টি মন্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে

NewsDetails_01

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় এই বছর ৭টি পুজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

আগামী ১লা অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা। যা আগামী ৫ই অক্টোবর দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হবে।

এবার পুজামন্ডপগুলোতে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে লাগানো হয়েছে সিসি ক্যামরা। এছাড়াও যেকোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রতিটি পূজা মন্ডপে কঠোর অবস্থানে থাকবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

মাটিরাঙ্গা কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী রক্ষাকালী মন্দিরের পুরোহিত শ্রী মৃদুল চক্রবর্তী জানান, কৈলাস হতে দেবী দুর্গা মর্ত্যে আসবেন গজে। শাস্ত্রে আছে দেবীর গজে আগমন শস্যপূর্ণ্য হবে বসুন্ধরা। আর দশমীতে দেবী নৌকায় কৈলাসে ফিরে যাবেন। শাস্ত্র মতে দেবীর নৌকায় গমনের মধ্য দিয়ে ফল শস্য বৃদ্ধি ও জল বৃদ্ধি ঘটে।

NewsDetails_03

এদিকে আজ বুধবার সকালে মাটিরাঙ্গা কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী রক্ষাকালী মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, মন্দিরের প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ করেছে মৃৎশিল্পীরা। এখন সাজগোজের কাজ চলছে। মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রশান্ত কুমার শাহা জানান, এই বছর আমাদের মন্দিরে যষ্ঠী হতে দশমী পর্যন্ত পুজা অর্চনার পাশাপাশি ভক্তিমুলক সংগীতানুষ্ঠান সহ বিভিন্ন মাঙ্গলিক আয়োজন করা হবে।

তিনি আরো বলেন, এ বছর মাটিরাঙ্গায় ৭টি পূজা মন্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। মাটিরাঙ্গা কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী রক্ষাকালী মন্দির মাটিরাঙ্গা সদর, গোমতি কালী ও জগন্নাথ মন্দির, বড়নাল ডাক বাংলা বাজার জগন্নাথ মন্দির, তবলছড়ি লাইফু কার্বারিপাড়া হরি মন্দির, তাইন্দং হেডম্যানপাড়া দূর্গা মন্দির, মাটিরাঙ্গা বলিটিলা শঙ্করমঠ ও গীতা আশ্রম ও বেলছড়ি শ্রী শ্রী কেন্দ্রীয় শিব মন্দির।

মাটিরাঙ্গায় বলিটিলা শঙ্করমঠ ও গীতা আশ্রম
মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, শেষ মুহূর্তে দুর্গা উৎসব আয়োজনে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। মন্দিরের প্রবেশ পথের আশাপাশ দৃষ্টিনন্দন করে সাজানো হয়েছে। এই মন্দিরেও প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ বলে জানান, মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি উজ্জল দে।

মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী বলেন, আসন্ন শারদীয় দূর্গাৎসব কে ঘিরে পূজা মন্ডপ গুলোর ব্যাপক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। পূজার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ সার্বক্ষনিক নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত থাকবে।

আরও পড়ুন