ম্রোদের শস্য পূজা উৎসব” চাময়

NewsDetails_01

জুমের নতুন ফসল ও আগামী জুমের ফসলের জন্য প্রার্থণা করে দেবতার উদ্দেশ্যে পূজা উপলক্ষে নতুন ধানের পিঠা মেলা, ম্রোদের বিভিন্ন লোকজ সাংস্কৃতির অনুষ্ঠানের আয়োজন।

বৃহস্পতিবার (২৯ফেব্রুয়ারী) সুয়ালক ইউনিয়নের চিম্বুক-সড়কের পাশে ম্র লং পাড়া নয় মাইল এলাকায় এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য সি অং খুমী”র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্নসচিব মো. আতাউর রহমান, অনুষ্টানে আরো উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের গবেষণা কর্মকর্তা কাইং ওয়াই ম্রো, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মঙ্গল জ্যােতি চাকমা, গাব্রিয়েল ত্রিপুরা প্রমূখ।

NewsDetails_03

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপনায় বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, (কেএসআই) এর সহকারী পরিচালক লীলা মুরুং এর উপস্থাপনায় এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি বলেন, সারাদেশে ৫০টির অধিক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী রয়েছে। তাদের সংস্কৃতিগুলো ধরে রাখার জন্য সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় বান্দরবানের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট (কেএসআই) বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের ভাষা,সংস্কৃতি,ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য চর্চা করছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের গবেষণা কর্মকর্তা কাইংওয়াই ম্রো বলেন, যেখানে জুম চাষ করা হয় সেই পাহাড়ে দেবতা আছে, ক্ষেত ফসলের শস্যেরও দেবতা আছে এটাই ম্রোদের বিশ্বাস। নতুন ধান ফসল পেলে সেই দেবতাকে পূজা করে যাতে আগামীতেও যেন ভালো ফসল পাওয়া যায়। সেই উপলক্ষে “চাময়” অনুষ্ঠানটি প্রতিবছর ম্রো সম্প্রদায় করে থাকে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ম্র লং পাড়া থেকে বটতলা পর্যন্ত মঙ্গল শোভা যাত্রা শেষে তাকেট খেলা (শক্তির পরীক্ষা), ম্রোদের লোকজসাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পিঠা উৎসব ও জুমচাষের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি প্রদর্শন করা হয়।

আরও পড়ুন