রোয়াংছড়িতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নারী নিহত

NewsDetails_01

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি সামুক ঝিড়িতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে শান্তিলতা তঞ্চঙ্গ্যা (৩৫) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন । তার বাড়ি রোয়াংছড়ি উপজেলার নাথিং ঝিড়ি এলাকায় । আহত হয়েছেন ওই নারীর ৭ বছরের এক শিশু । আহত শিশুকে উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের ৩৪ নম্বর বেডে ভর্তি করা হয়েছে । আর নিহত শান্তিলতার মরদেহ এখনও পর্যন্ত রাখা হয়েছে রোয়াংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ।

গত শুক্রবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে জুম চাষ করে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে ওই ঘটনা ঘটে।

নিহতের স্বামী রাংগোয়াই তঞ্চঙ্গ্যা জানান, জুম চাষ শেষে পায়ে হেঁটে নিজ বাড়িতে ফিরছিলাম। এ সময় সামুক ঝিড়ি এলাকায় আসলে আমি, আমার স্ত্রী ও সন্তানকে সামনের দিকে এগোতে দিয়ে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে যায়। এময় সময় হঠাৎ করে গুলির শব্দ শুনি । তাড়াতাড়ি স্ত্রী ও সন্তানের অবস্থা গিয়ে দেখি গুলি বিদ্ধ হয়ে পড়ে আছে স্ত্রী ও শিশুটি । পরে তাদেরকে স্থানীয়রা ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে ।

NewsDetails_03

এদিকে উপজেলার নাথিং ঝিড়ি এলাকার বাসিন্দা খোকন তঞ্চঙ্গ্যা জানান, হঠাৎ করে আমরা গুলির শব্দ শুনতে পাই। গুলির আওয়াজ শুনে গ্রামবাসীরা এদিকে ওদিক ছোটাছুটি করতে লাগল । অনেকে গ্রাম ছেড়ে পাশের পাহাড়ে পালাতে লাগল । গতকাল সেনাবাহিনীর সদস্যরা শিশুটিকে উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে ।

পাহাড়ের গাছের ফাঁক থেকে সন্ত্রাসীরা গুলি চালায় । তবে তারা কি পোষাক পরিহিত ছিল সেটি ভাল করে চেনা যায়নি বলে জানান ঘটনাস্থলের আশেপাশে থাকা জুম চাষীরা ।

রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদ কবির জানান, গুলিতে একজন নারী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন । লাশটি রোয়াংছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। কোন সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর গুলিতে নিহত হয়েছে তা জানা যায়নি ।

এদিকে, গত ৭ জুলাই বান্দরবানের রাজবিলা ইউনিয়নের বাঘমারা বাজারপাড়ায় অতর্কিত হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)-এমএন লারমার বা সংস্কার দলের ছয়জন নিহত হয়েছেন। আহত তিনজন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে এমএন লারমা বা সংস্কার দলের তিনজন কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলা শাখার সভাপতি ছিলেন। তবে এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ ।

আরও পড়ুন