লামায় খালাত ভাইয়ের লালসার শিকার হয়ে ছাত্রীর মৃত্যু !

NewsDetails_01

%e0%a6%a7%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%a3বান্দরবানের লামায় খালাত ভাই কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয় ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার(১২)। ধর্ষনের ফলে অনাকাঙ্খিত সন্তান নষ্ট করতে পরিবারের লোকজন পাহাড়ি ঔষুধ ব্যবহার করলে অতিরিক্ত রক্ত খরনে তার মৃত্যু হয়। সে লামা উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মাষ্টার পাড়া এলাকার আলী আকবরের মেয়ে এবং মাতামুহুরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী।
সুমাইয়ার মা লুৎফা বেগম বলেন, ধর্ষক তাজুল ইসলাম সম্পর্কে আমার ভাগিনা, একই এলাকার শামসুল হক এর ছেলে। প্রায় ৪মাস আগে আমার ছোট মেয়ে সুমাইয়া বাড়ির উপরে পাহাড়ে গেলে সেখানে জোর করে তাজুল ধর্ষণ করে।
তিনি আরো বলেন, ১০/১৫ দিন আগে মেয়ের গর্ভে বাচ্চা আসার বিষয়টি আমরা জানতে পারি। লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে না বলে পাহাড়ী ঔষুধ দিয়ে অনাকাঙ্খিত গর্ভের সন্তানটি নষ্ট করতে গেলে তার প্রচুর রক্ত খরন হয়। গত ২৭শে সেপ্টেম্বর অসুস্থ মেয়েকে লামা হাসপাতালে, পরে অবস্থার আরো অবনতি হলে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় এবং ২৯ সেপ্টেম্বর চমেক হাসপাতালে সে মারা যায়। স্থানীয় সমাজের নেতারা বিষয়টি পরে সমাধান করে দিবে বলে মেয়েটিকে কবর দিয়ে দেয়।
অসুস্থ সুমাইয়ার বাবা আলী আকবর তার মেয়ের ধর্ষনের ও মৃত্যু বিচার দাবি করেন। এদিকে সুমাইয়াকে হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে অভিযুক্ত তাজুল ইসলাম ও তার বাবা সামশুল ইসলামকে এলাকা দেখা যাচ্ছেনা বলে স্থানীয়রা জানায়। সুমাইয়ার সহপাঠি অনেকে বলেন, সে লেখাপড়ায় ভাল ছিলএবং বড় হয়ে সেনা কর্মকর্তা হওয়ার ইচ্ছে ছিল তার।
অভিযুক্ত তাজুল ইসলামের বাবা শামসুল হক মুঠোফোনে বলেন, সমাজের সবাই বলছে আমার ছেলে ধর্ষন করেছে কিন্তু আমি তা স্বীকার করিনা। অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় সুমাইয়ার পরিবার গরীব হওয়ার কারনে থানায় মামলা দায়ের না করলেও এই ঘটনা জানাজানি হলে এলাকার অনেকে এই ঘটনার বিচারের দাবী জানান।
রুপসীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু মার্মা বলেন, বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক, দরিদ্র অসহায় মেয়েটি ধর্ষনকারীকে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।

আরও পড়ুন