স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ তারা রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুল আলমের বাসভবনে চুরির মামলায় ২ মাস জেল খেটে গত ৫ দিন আগে ছাড়া পেয়েছিল। ছাড়া পাবার ৫ দিনের মাথায় আবারোও গতকাল মঙ্গলবার শবে কদরের রাত্রে ৫ জনের চোরের দল ঢুকে চন্দ্রঘোনা কেপিএম মিলে। বিধিবাম, কেপিএম নিরাপত্তা কর্মীদের চোখ এড়াতে পারলো না এরা। সংঘবদ্ধ চোর নিরাপত্তা কর্মীদের দেখে সুড়ঙ্গপথে পালানোর চেষ্টা করলে সেখান থেকে কেপিএম এর ফায়ারসার্ভিস কর্মী এবং নিরাপত্তা প্রহরীরা আটক করে তিনজনকে। আটককৃতরা জানান তারা একসাথে ৫ জন চুরি করতে এসেছিল। আজ বুধবার(১৩জুন) দুপুরে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাকি ২ জনের খোঁজে ফায়ার সার্ভিস ও কেপিএম এর নিরাপত্তা প্রহরীরা পুরো কেপিএম এলাকার সুড়ঙ্গপথ, ড্রেনসহ বিভিন্ন গোপন পথ তল্লাশি করছে।
এদিকে বুধবার সকালে কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন, ইউএনও রুহুল আমীন, কাপ্তাই থানার ওসি সৈয়দ মো: নুর, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন এবং ১ নং চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী ঘটনাস্থলে যান। কাপ্তাই থানার ওসি সৈয়দ মো: নুর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।
উল্ল্যেখ যে, আটককৃত চোররা কাপ্তাই থানা প্রশাসনকে জানান চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাট এলাকার এক প্রভাবশালী নেতার ভাইয়ের ছত্রছায়ায় এরা একের পর এক চুরির ঘটনা জড়িত হচ্ছে এবং ধরা খেলে ঐ নেতার ভাই তাদেরকে টাকা দিয়ে জামিনের ব্যবস্থা করে।