দগ্ধ জিয়াদের বাবা শেখ ফরিদ বলেন, তার ছেলে টিএন্ডটি গেইট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র। প্রতিদিনের মতো গত রোববার হাই স্কুল মাঠে খেলতে গিয়ে অবিস্ফোরিত একটি আতশবাজি খুঁজে পায়। এটি নিয়ে এসে তার স্কুলের পাশে খেলার সময় বিস্ফোরিত হয়। শব্দ শুনে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা নিয়ে যেতে বলেছেন। কিন্তু আর্থিক সংকট থাকায় কিভাবে ছেলের চিকিৎসা করাবেন সে দুশ্চিতায় জিয়াদের পরিবার।
স্থানীয়রা তিনদিনেও আহত জিয়াদের অবস্থার খোঁজখবর নিতে প্রশাসনের কারো হাসপাতালের না আসার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া দায়িত্বে অবহেলার জন্য সংশ্লিষ্টদের শাস্তি দাবি করেন।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা: নয়নময় ত্রিপুরা বলেন, আতশবাজি বিস্ফোরণে জিয়াদের হাত, পা, মুখমন্ডল ও পুরুষাঙ্গ দগ্ধ হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম কিংবা ঢাকায় নেয়ার জন্য অভিভাবকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ রাশেদুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, আমি চট্টগ্রাম আছি। আতশবাজি বিস্ফোরণ নাকি অন্য কিছু সেটি তদন্ত সাপেক্ষ ব্যাপার। আগে শিশুটির চিকিৎসা করানো জরুরী। খাগড়াছড়ি এসে আমি বিস্তারিত খবরাখবর নিচ্ছি।