খাগড়াছড়িতে কাল থেকে মং সার্কেল’র ৩ দিনের ‘রাজপূণ্যাহ’ শুরু

purabi burmese market

আগামী শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে খাগড়াছড়ি শহরের অদূরে মহালছড়া মং রাজবাড়ি প্রাঙ্গনে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ‘রাজপূণ্যাহ’ অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে তিন দিনব্যাপি যথাসম্ভব সংক্ষিপ্তাকারে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। কোন প্রকারের উৎসব আয়োজন এবং মেলা এবার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে জানিয়েছেন, রাজপূণ্যাহ উদযাপন কমিটি।

রাজপূণ্যাহ উদযাপন কমিটি’র সদস্য-সচিব ও গোলাবাড়ি মৌজা’র হেডম্যান উক্যসাইন চৌধুরী জানান, শুক্রবার সকাল ১০টায় উদ্বোধনী সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে সূচিত দিনব্যাপি পূণ্যাহ সভায়, সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী পদ-মর্যাদার শরণার্থী টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা; প্রধান অতিথি হিশেবে উপস্থিত থাকবেন।
সভাপতিত্ব করবেন, রাজা সাচিং প্রু চৌধুরী।

সভায় এছাড়া খাগড়াছড়ি ও গুইমারা রিজিয়ন’র অধিনায়ক, পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন।

দ্বিতীয় দিন শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বার্ষিক রাজস্ব খাজনা আদায় অনুষ্ঠানে মং সার্কেল চীফ বা রাজা সাচিংপ্রু চৌধুরী দিনভর ৮৮টি মৌজা’র প্রধান বা হেডম্যান এবং সাত’শ একজন পাড়া প্রধান (কার্বারী)-এর কাছ খাজনা ছাড়াও বিভিন্ন উপঢৌকন গ্রহণ করবেন। এদিন রাজবাড়িতে হেডম্যান-কার্বারীদের মধ্যাহ্ন ভোজের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

রাজবাড়ি সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় দিন (১২ ডিসেম্বর) নারী হেডম্যান ও নারী কার্বারীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সংরক্ষিত মহিলা এমপি বাসন্তী চাকমা প্রধান অতিথি এবং মং রানী উখ্যেংচিং মারমা (চেীধুরী) সভাপতিত্ব করবেন।

dhaka tribune ad2

এছাড়া তৃতীয় দিনের আনুষ্ঠানিকতায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য শতরুপা চাকমা এবং ইউএনডিপি’র প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।

রাজপূণ্যাহ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য হিরনজয় ত্রিপুরা জানান, প্রতিবছরকার ঐতিহ্যবাহী এই আয়োজন পার্বত্যাঞ্চলের তিনটি সার্কেলে বিভক্ত বসতির সকল জনগণের কাছে একটি ভিন্নধর্মী আবেদন রাখে। রাজপূণ্যাহ ঘিরে ব্যাপক উৎসব আয়োজনও হয়ে থাকে কিন্তু করোনা মাহামারীর কারণে এবার রুটি কাজগুলোই সমাধা করা হবে।

মং সার্কেল চীফ সাচিংপ্রু চৌধুরী জানান, ‘রাজপূণ্যাহ’ অনুষ্ঠান এবার অত্যন্ত ছোট আকারে করতে হচ্ছে।
এবারের রাজপূণ্যাহ’র প্রত্যাশা স্বরুপ সাচিংপ্রু চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথাগত ভূমি ব্যবস্থাপনাকে সমুন্নত রাখা, ১৯০০ সালের শাসনবিধি (হিলট্র্যাক্ট ম্যানুয়েল) অধিকতর কার্যকর করা, হেডম্যান-কার্বারীদের সম্মানী বৃদ্ধিসহ ক্ষমতায়িত করা, হেডম্যানদের কার্যালয় নির্মাণ এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থায়ী বাসিন্দাদের জীবনমান উন্নয়নের বিষয়ে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

আরও পড়ুন
আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।