খাগড়াছড়িতে প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষার মৌখিক পরীক্ষা ও হরতাল একসাথে চলছে। সোমবার ভোর ৬টা থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানের সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে হরতাল শুরু করে জেলা সুষম উন্নয়ন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি।
অন্যদিকে, হরতাল উপেক্ষা করে বেলা সাড়ে ১০টা থেকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরীর কক্ষে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। এসময় নিয়োগ কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সোমবার থেকে শুরু করে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে মৌখিক পরীক্ষা। প্রথম দিনে লক্ষীছড়ি, মানিকছড়ি ও রামগড় উপজেলার সিংহ ভাগ পরীক্ষার্থীই উপস্থিথ ছিলেন বলে প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানানো হয়েছে।
রামগড় থেকে আসার পরীক্ষার্থী সুরিয়া মার্মা জানান, মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে সোমবার ভোর ৪টায় মোটরসাইকেলে করে খাগড়াছড়ি এসেছি। খাগড়াছড়ি আসার পর পিকেটিংয়ের ভয়ে জিরোমাইল থেকে পায়ে হেঁটে পরিষদে আসতে হয়েছে।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী জানান,নিজেদের স্বার্থে সরকারি কাজে বাধা দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে জনপ্রতিনিধিরা হরতাল দিয়েছে। কিন্তু জনগণ তাদের ডাকে সাড়া না দিয়ে স্বত:স্ফূর্তভাবে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। উপস্থিতির হার আনুমানিক ৯০ শতাংশ। তিনি জানান, যে সব পরীক্ষার্থী আজ অংশ নিতে পারবে না। পরবর্তীতে তাদের পরীক্ষা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ আগস্ট জেলা পরিষদের অধীনস্থ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেয় জনপ্রতিনিধিদের সংগঠন জেলা সুষম উন্নয়ন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি। সরকারি সম্পত্তি বিনষ্ট ও জননিরাপত্তা বিঘিœত হওয়ার আশঙ্কায় ওইদিন পৌর শহর এলাকায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। ঘেরাও কর্মসূচি পন্ড হওয়ায় সংগঠনটি ১৮ সেপ্টেম্বর হরতাল ও ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা ৩ দিন পর্যন্ত সড়ক অবরোধের ডাক দেয় সংগঠনটি।