খাগড়াছড়ির গুইমারা যেভাবে এখনও করোনা মুক্ত

NewsDetails_01

খাগড়াছড়ির নয় উপজেলার মধ্যে আট উপজেলায় ইতোমধ্যে করোনা পজেটিভ রোগী শনাক্ত হলেও এখনও গুইমারা উপজেলায় কোন পজেটিভ শনাক্ত হয়নি। এর পেছনে রয়েছে প্রশাসনিক জটিলতা। ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর রামগড়, মহালছড়ি ও মাটিরাঙ্গা উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন নিয়ে গুইমারা উপজেলা গঠিত হয়। চার বছর অতিক্রম হলেও এখনও এ উপজেলায় শুরু হয়নি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কার্যক্রম। পুরাতন উপজেলার কাঠামোতে চলছে এ উপজেলার স্বাস্থ্যখাতের কার্যক্রম। এতে করোনা পরিস্থিতির এ সময়ে এখনও করোনা মুক্ত উপজেলার তালিকায় রয়ে গেছে গুইমারা উপজেলায়।

খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাশ এ বিষয়ে বলেন, গুইমারা উপজেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম না থাকায় মাটিরাঙ্গা উপজেলা থেকে দেখা হয়। করোনা উপসর্গ নিয়ে যারা নমুনা দিচ্ছেন তাদের মাটিরাঙ্গা নয়তো রামগড়ের হিসেবে দেখানো হচ্ছে। এতে করে এ উপজেলায় এখনও করোনা শনাক্ত হয়নি।

NewsDetails_03

বাংলাদেশে করোনা শনাক্তের ৫২ তম দিনে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল। এরপর থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় শনাক্ত হতে থাকে করোনা পজেটিভ। সাধারণ ছুটি ও ঈদুল ফিতরের পরপর উদ্বেগজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে করোনা আক্রান্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা। সর্বশেষ (২১ জুন) পর্যন্ত খাগড়াছড়ি জেলায় ১৬৩ জন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে ৭০ জনই পুলিশ সদস্য। আক্রান্ত হওয়ার তালিকা থেকে বাদ পড়েনি চিকিৎসক, নার্সরাও।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আব্দুল আজিজ বলেন, জেলায় পুলিশ সদস্যের মধ্যে করোনা আক্রান্তের হার বাড়ার পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। অন্যতম কারণগুলো হচ্ছে কক্সবাজার জেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে দায়িত্বপালন শেষে ফেরা, খাগড়াছড়ির প্রবেশমুখ মানিকছড়ি ও রামগড়ে দায়িত্বপালন এবং জননিরাপত্তা দিতে গিয়ে মাঠপর্যায়ে কাজ করা।

পুলিশ সদস্যের মধ্যে আক্রান্ত বাড়লেও উদ্বেগের কোন কারণ নেই বলে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, যেসব পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তারা বাহির থেকে আসছেন এবং যারা অসুস্থ তাদের আলাদা ভাবে কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। নমুনা দেয়ার পর ফলাফল আসা পর্যন্ত তাদের আলাদা করে রাখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন