কোনো কারণ ছাড়াই সন্তানের স্বাস্থ্য খারাপ হতে দেখলে উদ্বিগ্ন হন বাবা মা। কর্মজীবী দম্পতি হলে তো আরো বিপদ। কাজ ফেলে সন্তানের পাশে থাকাটা একরকম অসম্ভবই তাদের কাছে। কিন্তু সেই অসম্ভবকেই এখন সম্ভব করার তাগিদ দিচ্ছেন একদল গবেষক।
আয়ারল্যান্ডের একদল শিশুর উপর পরীক্ষা চালিয়ে সম্প্রতি গবেষকেরা বলছেন, শিশুর শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পিতা-মাতার পাশে থাকাটা খুবই জরুরি। পর্যাপ্ত সময় শিশুরা পিতা-মাতার কাছ থেকে দূরে থাকলে সত্যিই তাদের স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

গবেষকেরা একদল আইরিশ শিশুকে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন, যারা পিতা-মাতার সান্নিধ্য পায় তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো থাকে। স্কুলে থাকাকালীন সময় বাদে পিতা মাতার সান্নিধ্য তাদের মানসিক ও শারীরিক গঠনের জন্যও বেশ কার্যকর।
কর্ক নামের আইরিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক লক্ষ্য করেছেন, পিতা-মাতাই অনেক ক্ষেত্রে সন্তানের কথায় কর্ণপাত করেন না। সেখানে বাইরের মানুষের কাছে এসব শিশুর মতামত তো উপেক্ষিত হবেই।– এমনটাই বলছিলেন গবেষক দলে থাকা মাইকেল স্যান্ডার্স। বলছেন, সন্তানকে সবল এবং আত্মবিশ্বাসী মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে পিতা-মাতাকে অবশ্যই দিনের একটা বড় অংশ পাশে থাকা বাঞ্চনীয়।
গবেষণার পর বিষয়টি অবশ্য গুরুত্বের সঙ্গেই নিয়েছে আইরিশ সরকার। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্যাথারিন জাপোনে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর তাদের নীতিমালায় বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন। যাতে শিশুরা পিতা-মাতার সান্নিধ্য সঠিকভাবে পায় ।