গত ৩০ এপ্রিল থানায় রেকর্ড করা জিডিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, কাজী মহতুল হোসাইনের হুমকি-ধামকিতে তিনি বিব্রত এবং নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওবায়দুল হক ও আলী আহম্মদ নামে দুইজন কাজি মহিতুল হোসেন যত্নের বিরুদ্ধে শহরের কাছে বালাঘাটা এলাকায় বিগ্রেডের সামনে তাদের দখলীয় জায়গায় পাহাড় কেটে জমির রুপ পরিবর্তন করায় জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দিলে জেলা প্রশাসক ইউএনওকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন। তদন্তের পর গত ২৩ এপ্রিল কাজি মহিতুল হোসেন যত্নের বিরুদ্ধে পাহাড় কাটার অপরাধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ে প্রতিবেদন পাঠায়।
৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার কাজি মুহিতুল হোসেন যত্ন ও ইউএনও এর কার্যালয়ে এসে খোঁজ-খবর নেন ও মোবাইল ফোনে একাধিকবার হুমকি দেন। পাহাড় কাটার ঘটনায় পরিবেশ আদালতে পাঠানো প্রতিবেদন ধামাচাপা দেয়ার জন্য কাজি যত্ন নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেয় ইউএনও’র মোবাইল ফোনে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কাজী মহতুল হোসাইন বান্দরবান বারের একজন সিনিয়র আইনজীবী এবং বান্দরবান জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। বিভিন্ন কারনে তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হলেও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তিনি ফের বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হন।
ইউএনওর জিডি করার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম। তিনি জানান, প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া এবং তদন্ত শেষে এ বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।